‘‘আমি বাইরের মেয়ে? তুই কবে নন্দীগ্রামের ছেলে হলি? ’’ শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ মমতার

‘‘আমি বাইরের মেয়ে? তুই কবে নন্দীগ্রামের ছেলে হলি? ’’ শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ মমতার

বয়াল: এতদিন অধিকারী পরিবারকে গদ্দার মীরজাফর বলে বারবার তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ বয়ালের সভা থেকে নজিরবিহীন ভাবে আক্রমণ শানালেন তিনি৷ তাঁর চোটের জন্য সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীকে দুষলেন তিনি৷ মেজাজ হারিয়ে বেলাগাম ভাবে তুই তোকারি করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷  চরম আক্রমণাত্মক মেজাজ চরম হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন-  ‘বিজেপি এসে বাংলা থেকেই তাড়াবে বাঙালিদের’, নন্দীগ্রামে চরম আক্রমণাত্মক মমতা

তাঁর অভিযোগ, গতকাল বিরুলিয়ায় তাঁর শুভেন্দু অধিকারী তাঁর গুণ্ডাদের দিয়েই তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে৷ মারা হয়েছে দলীয় কর্মীদের৷ তিনি বলেন, মীরজাফর-গদ্দাররা কাল রাত্রে গুণ্ডামী করতে গিয়েছিল৷ বিরুলিয়ায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভেঙে দিয়ে এসেছে৷ ওঁরা কী ভাবছে আমরা মরে গিয়েছি? আমি এখনও মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বসে আছি৷ আমার মিটিং করে যাওয়ার পরও পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে, এথ বড় সাহস ওঁদের৷ 

এদিন সভা থেকে রীতিমতো মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী৷ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দেন৷ তাঁর মঞ্চে উপস্থিত আহত দলীয় কর্মীকে দেখিয়ে তিনি বলেন, ওঁর হাতও ভাঙা হয়েছে৷ এফআইআর করার পর কেন কাউকে গ্রেফতার করা হল না জানতে চাই৷ কীসের জন্য এত নিরাপত্তা? সুর চড়িয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘আমি খেলা খেলি ভদ্র ভাবে৷ কিন্তু আমার সঙ্গে কেউ লাগতে এসো না৷ আমার সঙ্গে লাগলে আমি আগুনের মতো ঝরি৷ আমাকে আঘাত করলে সিংহের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ি৷’’ 

তিনি আরও বলেন, সিপিএমের হার্মাদ নবকুমার সামন্ত আর মীরজাফররা আজকে বিজেপি’র নেতা হয়েছে৷ বলেন, ‘‘আমি বাইরের মেয়ে? আমি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী৷’’ তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘তুই বেটা হরিদাস কাঁথির ছেলে৷ তুই কবে নন্দীগ্রামের ছেলে হলি? তুই কবে নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র হলি ভাই? এতা তোর ভূমিও নয়, জমিও নয়৷ এখানে দালালি করে গিয়েছিস৷ সিপিএমের সঙ্গে সিপিএমের দালালি করেছিস৷ বিজেপি’র সঙ্গে মিশে বিজেপি’র দালালি করেছিস৷ তোকে আর তোর বাবাকে, ভাইকে কী দিইনি? লঞ্চ থেকে শুরু করে পেট্রোল পাম্প, আইটিআই, ব্যাঙ্ক কী নেই? আর ওঁর গুণ কী আছে? সেটা আমি বলব না আপনারাই বুঝবেন৷

আরও পড়ুন- ভীত নয়, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে শঙ্কিত! কমিশনে তৃণমূল

সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, আজ এই কথাগুলোও তিনি বলতেন না৷ কিন্তু ওঁদের কর্মকাণ্ডের জন্যই বলতে বাধ্য হয়েছেন৷ সরাসরি অধিকারী পরিবারের দিকে আঙুল তুলে বলেন, ‘‘নির্বানের আগে আমার পা জখম করেছে ওঁরা৷ হুইল চেয়ারে বসে আমাকে সভা করতে হচ্ছে৷ কোনও নন্দীগ্রামের লোক এই কাজ করেনি৷ তোমার নির্দেশ ছাড়া এ কাজ হতে পারে না৷ বহিরাগত গুণ্ডাদের দিয়ে এটা করা হয়েছে৷’’ তাঁর হুঙ্কার, একটা ভোট লুঠে দেখাক, তার পর তোমার কী অবস্থা হয় আমি দেখব৷    

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × four =