কলকাতা: শীতলকুচির ঘটনার পর বিতর্কিত মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনের নোটিশ পেয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে এই প্রসঙ্গে কথা বলা এখনো পর্যন্ত বন্ধ করেননি তিনি। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শীতলকুচিতে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। সেই প্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে গিয়ে দিলীপের দাবি, যারা এখনো শীতলকুচি নিয়ে পড়ে রয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই নির্বাচন হেরে গেছেন! বিজেপি অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে বলে আত্মবিশ্বাসী রাজ্য সভাপতি।
দিলীপ ঘোষের কথায়, বাংলায় ভন্ডামি করতে দেবে না ভারতীয় জনতা পার্টি। তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন জায়গায় গুন্ডামি করার চেষ্টা করছে এবং পরিস্থিতি জটিল করছে। কিন্তু কেউ তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে না। আর যারা এখনও শীতলকুচি নিয়ে পড়ে রয়েছেন তারা ইতিমধ্যেই নির্বাচন হেরে গিয়েছেন। এক্ষেত্রে বিজেপি অনেকদূর এগিয়ে গেছে বলে দাবি করেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই মন্তব্য করে তিনি যে আদতে পরোক্ষভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন তা বলাই বাহুল্য। কারণ আজই শীতলকুচিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ঘটনার পরের দিনই নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু কমিশনের জারি করা নির্বাচনী বিধিনিষেধের জেরে শীতলকুচি যেতে পারেননি তিনি৷ পরে তাঁর প্রচারেও ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷ তবে ফোনে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- শীতলকুচির ঘটনায় নয়া মোড়, এবার পৃথক তদন্তে নামছেন CISF -এর কর্তারা
চতুর্থ দফা ভোটে ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারাতে হয়েছিল হামিদুল হক, দিলদার আহমেদ, মনিরুল হক এবং নুর আলমকে৷ এই চারজনের পরিবারের সঙ্গে আজ দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মাথাভাঙা মাঠের পাশে তৈরি করা হয় শহিদ মঞ্চ৷ আজ সকাল থেকেই এই মঞ্চের সামনে উপস্থিত হন নিহতদের আত্মীয় স্বজন৷ প্রথমে আনন্দ বর্মনের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছিল, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান না৷ কিন্তু পরে তাঁর দাদু ও মামা শহিদ মঞ্চে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন পাঁচ নিহত পরিবারের সদস্যরাই৷