তিন দফার ভোট এক দফায়! সর্বদলীয় বৈঠকে কোন অবস্থান নেবে তৃণমূল, জানালেন মমতা

তিন দফার ভোট এক দফায়! সর্বদলীয় বৈঠকে কোন অবস্থান নেবে তৃণমূল, জানালেন মমতা

কলকাতা:  গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন৷ রাজ্যের ছয় জন প্রার্থী করোনা আক্রান্ত৷ এর মধ্যে আজ সকালেই মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক৷ ৫ হাজারের বেশি মানুষ রাজ্যে কোভিড আক্রান্ত৷ গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে সাড়ে দশ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই মারন ভাইরাস৷ এহেন কোভিড পরিস্থিতি এবং রাজ্যের নির্বাচন এখন ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে? তিন দফা ভোট এক দফায় করলেই বা তৃণমূল কী অবস্থান নেবে? এবিপি আনন্দে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই সকল প্রশ্নেরই জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 

আরও পড়ুন- ‘আপনি সবচেয়ে ঝগড়ুটে মহিলা!’ মমতাকে ‘লেডি হিটলার’ বললেন শুভেন্দু

এদিন মমতা বলেন, দিল্লি, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশে সহ বিভিন্ন রাজ্যে হু হু করে সংক্রমণ বাড়ছে৷ এর মধ্যে বাইরে থেকে লোক আসছে বাংলায়৷ বিজেপি’র হয়ে টাকা বিলোতে বা বিজেপি’র হয়ে বিভিন্ন কাজ করতে৷ এর জন্য আমাদের ভবিষ্যতে ভুগতে হবে৷  

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজ্যে শেষ তিন দফা ভোট একবারে করার চিন্তা ভাবনা করছে নির্বাচন কমিশন৷ বিভিন্ন মহল থেকে এই প্রস্তাব এসেছে৷ এই বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামীকাল সর্বদল বৈঠকও ডাকা হয়েছে৷ সেখানে অংশ নেবে তৃণমূল কংগ্রেসও৷ সেক্ষেত্রে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে? এর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের অবস্থান প্রথম থেকেই অত্যন্ত স্পষ্ট৷ প্রথম থেকেই আমরা বলেছিলাম বাংলায় ৮ দফা ভোট করার কোনও প্রয়োজন নেই৷ এটা বাংলার অসম্মান৷ অসমে তিন দফা, কেরল-তামিলনাড়ুতে ১ দফায় ভোট হলে বাংলায় কেন ৮ দফা ভোট হবে? বিজেপি নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে পরিকল্পনা করে মণ্ডল কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী আট দফা ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷  যাতে ওরা আরও বেশি করে লোকজন আনতে পারে, টাকা ছড়াতে পারে৷ 

আরও পড়ুন- সমস্ত রেকর্ড ভেঙে বাংলায় বেলাগাম করোনা! লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ-মৃত্যু

তিনি আরও বলেন, এছাড়া যে কোনও প্যান্ডেমিকের ক্ষেত্রেই দু’ বছর হাতে রাখতে হয়৷ গত বছর কোভিড হয়েছে৷ ফলে আগে থেকেই এই বছরটা নজরে রাখা উচিত ছিল৷ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ছিল৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কোনও সতর্কতা নেয়নি৷ গত সাত-আট মাসে সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া হলে আমরা অনেকটাই রক্ষা পেতাম৷ প্রধানমন্ত্রী পিএম কেয়ার ফান্ডে কত লক্ষ-কোটি টাকা তোলা হল, তা কেউ জানতে পারল না৷ এবং তার থেকেও বড় কথা কাউকে ওষুধ দেওয়া হল না৷ তবে ভ্যাকসিন নিয়েও কোভিড আক্রান্ত হচ্ছে৷ ফলে কোভিড ভ্যাকসিন কোন পর্যায়ে রয়েছে৷ কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল সেটাও আমরা জানি না৷ প্রসঙ্গত, কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন এবিপি আনন্দের সাংবাদিক সুমন দে’র গোটা পরিবারও৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 3 =