বীরভূম: ভোটের আগে ফের ‘নজরবন্দি’ বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে ৩০ এপ্রিল সকাল ৭টা পর্যন্ত তাঁকে ‘নজরবন্দি’ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এমনকী তাঁর গতিবিধির উপর নজর রাখতে করা হবে ভিডিয়োগ্রাফি৷ কিন্তু আজ নজরবন্দির জন্য মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সামনে দিয়েই গাড়ি নিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল৷ রাস্তায় তাঁর গাড়ির হদিশ হারিয়ে ফেলল কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি৷ বাহিনীর চোখকে কার্যত ‘ফাঁকি’ দিয়ে বেড়িয়ে গেলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- ভোটের শেষ লগ্নে ফের ভাঙন তৃণমূলে, দল ছাড়লেন প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস
তৃণমূলের জেলা সভাপতির গাড়ি খুঁজতে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা৷ অনুব্রতকে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়ান ম্যাজিস্ট্রেটও৷ বীরভূমের নানুরের বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি ঘুরে বেড়ায়৷ বিভিন্ন জায়গা থেকে তত্ত্ব সংগ্রহ করে তাঁরা অনুব্রত মণ্ডলের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করেন৷ ঘণ্টাখানেক সময় পেরিয়ে গেলেও অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি তাঁরা খুঁজে পাননি৷ কখনও সংবাদমাধ্যমের কাছে, আবার কখনও স্থানীয় মানুষের কাছে জিজ্ঞাবাসাদ করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা৷
আরও পড়ুন- করোনার কোপে বাঙালির ‘দীপুদা’, সমুদ্র-পাহাড়ে শ্মশানের নিস্তব্ধতা
আজ সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরন অনুব্রত মণ্ডল৷ এরপর বেলপুরের বিভিন্ন জায়গায় যায় তাঁর গাড়ি৷ তিনি বেরনোর পরেই তাঁর গাড়ি ফলো করতে থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি৷ কিন্তু হঠাৎ করেই গতি বাড়িয়ে অনুব্রতর গাড়ি বেড়িয়ে যায়৷ ঠিক সেই সময় সামনে অন্য একটি গাড়ি চলে আসায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি আটকে যায়৷ এর পর থেকে কোনও ভাবেই আর যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না অনুব্রতর সঙ্গে৷ তিনি বীরভূমের কোথায় রয়েছেন তা খোঁজার চেষ্টা শুরু হয়৷ এই ঘটনার পর বলা যায় কমিশনের নজরবন্দি থেকেও বাহিনীর চোখকে আজ ‘ফাঁকি’ দিয়েই বেড়িয়ে গেলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি৷ দীর্ঘ সময় পর অবশেষে তাঁর হদিশ মেলে৷