ভোটের শেষ লগ্নে ফের ভাঙন তৃণমূলে, দল ছাড়লেন প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস

ভোটের শেষ লগ্নে ফের ভাঙন তৃণমূলে, দল ছাড়লেন প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস

কলকাতা:   ভোটের শেষলগ্নে ফের ভাঙন শাসক শিবিরে৷ এবার দল ছাড়লেন প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস৷ ব্যক্তিগত কারণে  তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ছেন বলেই জানিয়েছেন ‘উপেন দা’৷ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে ইমেল করে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত জানান তিনি৷  প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই সিএএ নিয়ে  তৃণমূলের সঙ্গে ভিন্ন অবস্থান তৈরি হয়েছিল তাঁর৷ এর জেরেই পদত্যাগ কিনাস তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷   

আরও পড়ুন- দর্শকশূন্য পুজো, অনুব্রতকে শায়েস্তা, কমিশনকে তুলোধোনার নেপথ্যে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়!

একুশের ভোট শুরু আগে বঙ্গ রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছিল দল বদলের খেলা৷ শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূলের তাবড় তাবড় নেতা দল ছেড়েছেন একের পর এক৷ কিন্তু ভোটের প্রায় শেষ লগ্নে পৌঁছে উপেন বিশ্বাসের দলত্যাগ নিশ্চিত ভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ৷ অষ্টম দফা ভোট শুরু হতে আর ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই৷ এমন এক মূহূর্তে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে ইমেল করে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী৷ কী কারণে বা কোন বৈরীতার কারণে দলত্যাগ, তা স্পষ্ট করেননি৷ শুধুমাত্র ব্যক্তিগত কারণেই দল ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷ 

২০১১ সালে বাগদা থেকে বিধানসভা ভোটে জিতে মন্ত্রী হয়েছিলেন উপেন বিশ্বাস৷ অনগ্রসর কল্যাণ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে৷ পরে, ভোটে হারলে তাঁকে এসটি-এসসি কমিশনে ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদমর্যাদার দায়িত্বও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আজ উত্তর ২৪ পরগণার তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির কাছে ইমেল ও হার্ড কপি পাঠিয়ে দলত্যাগের কথা জানান৷ 

যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, ২০১৮ সালের পর থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক পদে ছিলেন না উপেন বিশ্বাস৷ কিন্তু সিবিআই সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে দলকে পরামর্শ দেওয়া বা আরও অন্যান্য বিষয়ে দলের পাশে ছিলেন তিনি৷ কিছুদিন আগে নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে তৃণমূলের অবস্থানের সঙ্গে তাঁর বৈপরীত্য তৈরি হয়েছিল৷ সিএএ কতখানি জরুরি সেকথা অমিত শাহকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন উপেনবাবু৷ কিন্তু ভোটের মাঢে আচমকাই প্রাক্তন আইপিএস তথা সিবহিআই-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর উপেন বিশ্বাস আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করলেন৷ এই বিষয়ে তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷ 

আরও পড়ুন- করোনার কোপে বাঙালির ‘দীপুদা’, সমুদ্র-পাহাড়ে শ্মশানের নিস্তব্ধতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন উপেন বিশ্বাস৷ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেই দলীয় সূত্রে খবর৷ তাঁর এই পদত্যাগ নিশ্চিত ভাবেই রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ল ফেলল৷      
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *