একুশ ছিল চ্যালেঞ্জ, বাংলা দেশে BJP’র ধস নামিয়েছে, এটাই টার্নিং পয়েন্ট, বললেন মমতা

একুশ ছিল চ্যালেঞ্জ, বাংলা দেশে BJP’র ধস নামিয়েছে, এটাই টার্নিং পয়েন্ট, বললেন মমতা

কলকাতা:  দেশ বাঁচাতে একুশের নির্বাচন ছিল তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ৷ বিপুল সমর্থনে তৃতীয়বার ক্ষমতার আসার পর এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর সত্যজিৎ রায়ের ছবির নাম ধার করেই বলতে হল তৃতীয় বারের জন্য ‘অপরাজিত’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস৷ 

আরও পড়ুন- মোদীর সুরেলা ভঙ্গীতে ‘দিদি ও দিদি’ সম্বোধনই কি কাল হল বিজেপি’র?

এদিন নিজের বক্তব্যের শুরুতেই মমতা বলেন, সত্যজিৎ রায় বাংলার গর্ব, দেশের গর্ব, পৃথিবীর গর্ব৷ তাঁকে আমার প্রণাম৷ এর পরেই তিনি বলেন, আমার অঙ্কটা ছিল ২২১৷ ২২১-এ আমরাই আসব৷ কারণ মুর্শিদাবাদে ২টি আসনে ভোট হয়নি৷ সে দুটো আমাদের৷ খড়দাও আমাদের সিট৷ ফল প্রকাশের পর মহিলাদের মুখে হাসি দেখেছি, বিশেষত মা বোনেদের মুখে৷  খেলা হবে আর জয় বাংলা স্লোগান মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছে৷ আমরা যে প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছি… এই জয় মানুষের জয়, বাংলার জয়৷ বাংলা ভারতবর্ষকে জিতিয়েছে৷ গণতন্ত্রকে জিতিয়েছে৷ বাংলা ভারতবর্ষে বিজেপি’র ধস নামিয়েছে৷ এটাই টার্নিং পয়েন্ট৷ 

মমতা আরও বলেন, আমি বারবারই বলেছি বিজেপি ৭০-এর বেশি পাবে না৷ তখন কেউ বিশ্বাস করেনি৷ নির্বাচন কমিশনের জন্য বেশি পেয়েছে৷ তিনি বলেন, নন্দীগ্রামে ভোট করতে দেয়নি৷ গ্রামে গ্রামে অত্যাচার করেছে সিআরপিএফ৷ টোটাল লুঠ করিয়েছে৷ বহু মিটিংয়ে বলেছি, নন্দীগ্রাম আমার চোখ খুলে দিয়েছে৷  নিজেদের ইচ্ছে মতো অফিসারদের বসিয়ে এলাকায় ভোট করতে দেয়নি৷ সবটাই গুন্ডামি হয়েছে৷ তিনি জানান, দল নন্দীগ্রামে পুনর্গননার দাবি জানিয়েছে৷ অনেক রকম কারচুপি করেছে৷ চার ঘণ্টা ধরে সার্ভার ডাউন করে রেখেছিল৷ তিন চারবার ডেটা ঘোষণার পরও ব্যাক আউট করেছে৷ অনেক ধরনের নোংরা খেলা হয়েছে৷ বেআইনি কাজ হয়েছে৷ তাঁর কথায়, নন্দীগ্রাম আমার কাছে কোনও বিষয় নয়৷ দল যখন ২২১টি আসন পায়, তখন একটা আসন কী হল, তা নিয়ে কিছু যায় আসে না৷ যে সিট থেকে আগামী দিনে মানুষ দিয়ে দেবে৷ চলে আসব৷ কিন্তু যে বদমাইশি হয়েছে, তার পিছনে কার হাত ছিল দল সেটা জানতে চায় দল৷  

আরও পড়ুন- নতুন মন্ত্রিসভা গঠনে আজই বৈঠকে মমতা, যাবেন রাজভবনেও

 
২১০১১ সালে বামফ্রন্টকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২০২১-এ নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের বিরুদ্ধে লড়ে ফের নীলবাড়ি দখল৷ কোন জয়টা বেশি তৃপ্তীর? জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০১১ সালে পরিবর্তন আনা নিশ্চিতভাবেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল৷ ২০১৬ টাও গুরুত্বপূর্ণ৷ তবে ২০২১ এ জেতাটা আমার কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল৷ দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর লড়াই৷ বাংলার মানুষ এটা বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তাঁদের মেরুদণ্ড এখনও খুব সোজা৷ 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − one =