বাঁকুড়া: স্বামী পেশায় দিনমজুর৷ সংসার চলত অতি কষ্টে৷ অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকেই রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেছিলেন ৩ সন্তানের মা বছর ৩০ এর চন্দনা বাউড়ি৷ সেখান থেকেই মোড় ঘোরে ভাগ্যের৷ আর একুশের ভোটে যখন বিজেপি’র বিপর্যয়, তখন উজ্জ্বল অক্ষরে লেখা হল তাঁর নাম৷ বাঁকুড়ার শালতোড়া কেন্দ্রে ৪ হাজার ১৪৫ ভোটে তৃণমূল প্রার্থী সন্তোষ কুমার মণ্ডলকে হারিয়ে বিধায়ক হলেন চন্দনা৷
আরও পড়ুন- মানুষ জেতাতে চাননি, এটাই বাস্তব! নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে মমতাকে একহাত দিলীপের
এবারের ভোটে দরিদ্র প্রার্থীদের তালিকায় অন্যতম ছিলেন চন্দনা বাউড়ি৷ কিন্তু নিজেই জানতেন না এবারের ভোটে টিকিট পেতে চলেছেন তিনি৷ প্রার্থী হিসাবে বিজেপি তাঁর নাম মনোনয়নের পর সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন চন্দনা৷ ওই সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার আগে পর্যন্ত বুঝতেই পারেননি যে টিকিট পেতে চলেছেন তিনি৷ শুধু তাই নয়, স্থানীয় এক নেতা এসে প্রার্থী হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন তাঁকে৷ তাঁর হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন খোদ বিজেপি’র তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তী৷ চন্দনা বলেন, ‘‘এটা আমরা কাছে সৌভাগ্যের বিষয় যে মিঠুন চক্রবর্তীর হাত ধরে শুরু হয়েছিল আমার প্রচারাভিযান৷’’
চন্দনা তিন সন্তানের মা৷ দুই মেয়ে ও এক ছেলে তাঁর৷ তিনি যখন ভোটের প্রচারে ব্যস্ত৷ তখন তাঁর সন্তানদের সামলেছেন তাঁর মা আর শাশুড়ি মা৷ যখন প্রয়োজন হয়েছে, পাশে পেয়েছেন তাঁর স্বামীকেও৷ চন্দনার কথায়, ‘‘আমি সারা দিন বাইরে থাকতাম৷ তাই আমার বাড়িতেই মা আর শাশুড়ি মাকে এনে রেখেছিলাম৷ তাঁরাই আমার বাড়ি আর সন্তানদের খেয়াল রেখেছেন৷ আমার স্বামীও আমাকে সাহায্য করেছে৷’’
আরও পড়ুন- বাম-শূন্য বিধানসভা, হারের দায় নিয়ে পদত্যাগ করলেন বিমান বসু!
২০১৪ সাল থেকেই বিজেপি কার্যকর্তা হিসাবে কাজ করছেন চন্দনা৷ ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাঁকে গ্রাম পঞ্চায়েত নেতা করা হয়৷ ২০১৯ সালে বিজেপি’র বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্য হন তিনি৷ চন্দনা বলেন, ‘‘বিজেপি সকলের জন্য৷ এখানে ধনী-গরিব ভেদ নেই৷ একজন গরিব মহিলাকে অনেক সম্মান দিয়েছে বিজেপি৷ আমি দলের কাছে কৃতজ্ঞ৷’’