কলকাতা: নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নবান্নে ফের যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিপুল আসন নিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় এলেও, নন্দীগ্রামের শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেটাই যেন এত বড় জয়ের মধ্যেও ‘কাঁটা’ হয়ে গিয়েছে তাঁর। যদিও এই নন্দীগ্রামের আসন নিয়ে এখন আলোচনার তুঙ্গে কারণ তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছে যে সেখানে গণনায় কারচুপি হয়েছে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাত নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, নন্দীগ্রামের মানুষ মমতাকে জেতাতে চাননি, এটাই বাস্তব।
এদিন দিলীপ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুতেই নিজের হার স্বীকার করতে চান না। নন্দীগ্রামে মানুষ তাঁকে জেতাতে চাননি এটাই বাস্তব। প্রথমে তাদের পক্ষ থেকেই খবর রটিয়ে দেওয়া হয় যে তিনি নন্দীগ্রামে জিতে গিয়েছেন। কিন্তু পরে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় যে তিনি নয় শুভেন্দু অধিকারী জিতেছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পরাজয় স্বীকার করতে চাইছেন না। এর পাশাপাশি বিজেপির পারফরম্যান্স নিয়ে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেন, বাংলার মানুষ হয়তো বিজেপিকে সরকারে বসানোর যোগ্য মনে করেনি তাই প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে বসিয়েছে। সাধারণ মানুষ যে দায়িত্ব দিয়েছে সেই দায়িত্ব বিজেপি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে বলে জানাচ্ছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, বাম এবং কংগ্রেস শূন্য করে দিয়ে বাংলার মানুষ চেয়েছেন যাতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিরোধী দল থাকে। কারণ বাকি দুই দলের দ্বারা কিছু সম্ভব হচ্ছিল না। সেই প্রেক্ষিতে বিরোধী শক্তি হয়ে বাংলার সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাবে বিজেপি।
এর পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ইতিমধ্যেই আক্রমণ করেছেন দিলীপ ঘোষ। বলেছেন ভোট ফলাফলের ২৪ ঘন্টাও হয়নি এদিকে ইতিমধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বাংলায়। রাজ্যের একাধিক জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা ভোট পরবর্তী হিংসা করে যাচ্ছে। ভোটের ফল বেরিয়েছে মাত্র এক দিনও হয়নি, এখনই যদি এই হিংসা হয় বাংলায় তাহলে পরবর্তী ক্ষেত্রে কী হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। ইতিমধ্যে এই হিংসার ঘটনায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি এবং একইসঙ্গে বলেছেন যে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাবে বিজেপি প্রতিনিধি দল।