জল্পনা উস্কে মমতা বন্দনা! তবে কি ফের তৃণমূলেই ফিরছেন শোভন-বৈশাখী?

জল্পনা উস্কে মমতা বন্দনা! তবে কি ফের তৃণমূলেই ফিরছেন শোভন-বৈশাখী?

74f23fa12835a5f674fa0de3fa058c9d

কলকাতা:  বিধানসভা ভোটে বিজেপি’র বিপর্যয়ের পর জল্পনা উস্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন শোভন-বৈশাখী৷ সুর বদলে তৃণমূলকে দিলেন দরাজ সার্টিফিকেট৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুইলচেয়ারে বসে লড়াইকে কুর্নিশ জানালেন বৈশাখী৷ নন্দীগ্রামের ফল নিয়ে সন্দিগ্ধ শোভন৷  

আরও পড়ুন- বাম-কংগ্রেসে বড় মুখের পরাজয়ের মাঝেই ‘মান’ বাঁচালেন ছোটরা, রক্ষা করলেন জামানত

একটি বৈদ্যুটিক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে নির্বাচন করেছে৷ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার টার্গেট করে এগিয়েছিল বিজেপিও৷ কিন্তু যেতার জন্যে যে পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত তা করা হয়নি৷ বহু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বারবার করে যে বিষয়গুলো চিহ্নিত করেছিলাম, সেগুলি গ্রহণ করা হয়নি৷ সেই সময়েই বুঝেছিলাম সরে আসা উচিত৷ সেই কারণেই ভোট পর্বে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মত বিনিময়টুকুও করিনি৷ 

অন্যদিকে বৈশাখী বলেন,  বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের আন্তরিক প্রায়াস ছিল পশ্চিমবঙ্গে জেতা৷ বিজেপি কর্মীদের মধ্যেও সেই চাহিদা ছিল৷ কিন্তু যাঁরা পশ্চিমবঙ্গের মাথায় বসে দায়িত্ব হাতে নিয়েছিলেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে কিছুটা হলেও বিভ্রান্ত করেছিলেন৷ যাঁরা কোনও দিনও ভোটে জেতেনি বা সাংগঠনিক ক্ষমতা নেই, তাঁরা বলেছে আমার কথা শুনতে হবে৷ তাঁর কথায়, বিজেপি নেতৃত্ব একজন সম্পদকে হাতে পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি৷ এটা তাঁদের ব্যর্থতা৷ দক্ষিণ ২৪ পরগণায় বেজেপি’র রথে এমন লোকেদের দেখা গিয়েছে, যাঁদের হয়তো ১০ জন ফলোয়ার্সও নেই৷ শোভনবাবু ওই রথে পা না দিয়ে ওঁনার রাজনৈতিক পবিত্রতা বজায় রেখেছিলেন৷ 

বৈশাখী বলেন, কিছু নেতার ভুল বক্তব্য সারা বাংলায় ভুল বার্তা ছড়িয়েছে৷ মানুষের সমস্যার বাইরে গিয়ে একটা আফিম খাওয়ানোর চেষ্টা হয়েছিল৷ ইন্টারনেট থেকে কিছু ডেটা নিয়ে ভোটে প্রচার করে জেতা যায় না৷ পাশাপাশি বৈশাখীর মুখে এদিন শোনা যায় প্রশান্ত কুশোরের প্রশংসাও৷ তিনি বলেন, তৃণমূলে থেকে কোন নেতারা অন্তর্ঘাত করছিল, সেটা প্রশান্ত কিশোর বার করেছিলেন৷ কিন্তু বিজেপি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বুঝতেই পারেননি কারা বিজেপি’র মধ্যে থেকে দলকে বড় হতে দিচ্ছে না৷ 

বৈশাখী আরও বলেন,  তৃণমূল ছাড়ার পর পুরনো সতীর্থরা শোভনবাবুকে বলেছেন, অনেকে চলে গিয়েছে দিদির দুঃখ নেই৷ কিন্তু তুই চলে যাওয়ায় দিদির দুঃখ রয়েছে৷ আজও শোভনবাবুকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রক্ষা করেছেন৷ প্রশাসক হিসাবে উনি যে কাজ করেছেন তাতে কৃতজ্ঞ৷ 

আরও পড়ুন- একদিনে বাংলায় ভাইরাস মুক্ত প্রায় ১৬,০০০! স্বস্তির আবহ দেশেও

এদিকে শোভন বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেগম বলে আখ্যা দেওয়া, ফুফা বলা বা তাঁর সম্পর্কে যে বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে, তা মানুষের মধ্যে প্রভাব ফেলেছে৷ নন্দীগ্রামের ফল নিয়েও সন্দেহ রয়েছে তাঁর৷ তিনি বলেন, ১৫ রাউন্ড গণমনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৮২০ ভোটে এগিয়ে ছিলেন৷ এর পরেই তথ্য দেওয়া বন্ধ হয়ে গেল৷ এর মধ্যে নিশ্চিত গলদ রয়েছে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *