কলকাতা: একদিকে দাপট দেখাচ্ছে করোনা৷ অন্যদিকে নারদ কাণ্ডে সোমবার সাত সকালে গ্রেফতার রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ গ্রেফতার করা হয় আরও দুই হেভিওয়েট নেতা মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে৷ তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ করেছে সিবিআই৷ আর সিবিআই-এর এই পদক্ষেপের পরেই মুখ খুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য৷ তাঁর কথায়, ‘‘করোনায় কাবু গোটা দেশ৷ সব জায়গায় মড়ক লেগেছে৷ এই পরিস্থিতি থেকে নজর ঘোরাতেই বাংলার নেতা মন্ত্রীদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন মোদী-শাহ৷’’
আরও পড়ুন- শোভনের গ্রেফতারির খবর পেয়ে CBI দফতরে ছুটলেন স্ত্রী রত্না
এদিন ফেসবুক লাইভে এসে আরও একবার কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধোনা করেন দেবাংশু৷ তিনি বলেন, ‘‘নারদ ফুটেজে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে যদি দেখা গিয়ে থাকে, তাহলে ওই ফুটেজে শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়, শঙ্কুদেব পণ্ডাকেও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল তাঁদের গ্রেফতারের কোনও উদ্যোগ সিবিআই-এর তরফে দেখানো হল না৷ কেন? কারণ যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী বা বিধায়ক৷ আর যাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি তাঁরা হয় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা নয়তো বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি।’’ এর পরেই তোপ দেখে দেবাংশু আরও বলেন, ‘‘গোটা দেশে গঙ্গায়-যমুনায় লাশ ভাসছে৷ উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশে হাসপাতালে জ্যান্ত মানুষদের কোনও জায়গা নেই, শ্মশানে মৃত মানুষের জায়গা নেই। আর কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিন বিদেশে পাচার করে দিয়েছে৷ দেশের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি থেকে মুখ ফেরাতেই তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হল৷’’
আরও পড়ুন- জামিনের আবেদন খারিজে যুক্তি সিবিআইয়ের, পাল্টা দাবি রাজ্যের
দেবাংশুর কথায়, ‘‘গোটা দেশের চোখ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা ঢেকে দেওয়াই বিজেপি’র উদ্দেশ্য৷’’ তিনি আরও বলেন, বাংলায় করোনা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু আট দফা ভোট, কেন্দ্রীয় বাহিনী আর বিভিন্ন আধিকারীরদের দৌলতে গ্রামেগঞ্জে কোভিড ছড়িয়ে পড়েছে৷ এরই মাধে তৃণমূল প্রশাসনের অন্যতম স্তম্ভ ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে করোনা মোকাবিলায় ধাক্কা দেওয়া হল। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি যাতে কোনওভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসতে না পারে সেজন্য এই চক্রান্ত করেছে বিজেপি৷ মোদী-শাহকে দেবাংশুর তোপ, টাকার লোভে ভ্যাকসিন বিদেশে বেচে দুই ভাই বসে খালি হাতে ঢোল বাজাচ্ছে৷