কলকাতা: স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই গ্রেফতার করার খবর শোনামাত্রই তাঁর পাশে দাঁড়াতে নিজাম প্যালেসে ছুটে গেলেন তাঁর স্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জন্য দু’জন আইনজীবীও সেখানে নিয়ে যান রত্না দেবী৷ সোমবার সকালেই নারদ কাণ্ডে সোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবাআই৷
এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায়দের গ্রেফতারির পরই নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে উপস্থিত হয়ে স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে বেশিক্ষণ কথা না বলে সোজা ভিতরে ঢুকে যান। তবে যাওয়ার আগে শুধু বলেন, ‘বেশি কিছু বলতে চাই না। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলব। তাঁদের পরামর্শ মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’
প্রসঙ্গত, বিবাহ বিচ্ছেদ না হলেও দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা থাকছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। দু’জনের সম্পর্কের টানাপোড়েনের কাহিনি এর আগে বহুবার সংবাদ শিরোনামেও এসেছে। তাতে নাম জড়ায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকী শোভন-বৈশাখী মিলিতভাবে যখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তখন মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে পুরোপুরি রাজনীতিতে পা রাখেন রত্নাও। শোভনবাবু কিংবা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিজেপিতে ব্রাত্য, বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট থেকে বঞ্চিত, তখন বেহালা পূর্ব থেকে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়ছেন স্ত্রী তথা দিদির সৈনিক রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং প্রতিপক্ষকে হারিয়ে জয়ীও হয়েছেন তিনি৷ একসঙ্গে না থাকলেও, এবার স্বামীর বিপদে পাশে দাঁড়াতে নিজাম প্যালেসে আসতে দেরি করেননি তিনি। -ফাইল ছবি
এই ঘটনায় গোটা রাজ্যজুড়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটে হেরে যাওয়ার পরই প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে সিবিআইকে ব্যবহার করে এই কাজ করছে বিজেপি। গ্রেফতার করতে স্পিকারের অনুমতিও নেওয়া হয়নি বলে খবর। এই কাজ একেবারেই অসাংবিধানিক। এমনকী ইতিমধ্যেই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ-সহ একাধিক নেতা-কর্মীরা প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী কিংবা মুকুল রায়কে ছাড় কেন? ইতিমধ্যে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভও দেখাতে শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।