বজ্রপাতের নিরিখে ‘বিপজ্জনক’ বাংলা, ‘রক্ষাকবচ’ হতে পারে গাছ

বজ্রপাতের নিরিখে ‘বিপজ্জনক’ বাংলা, ‘রক্ষাকবচ’ হতে পারে গাছ

ecda77a9554af6fe7e269b997ba2a4e2

কলকাতা: বাংলায় বর্ষা ঢুকতে চলেছে৷ বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ৷ আজ থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমাণ৷ কিন্তু বৃষ্টির পাশাপাশি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে ভয়ঙ্কর বাজ৷ বলা হচ্ছে বজ্রপাতের নিরিখে বাংলা ‘বিপজ্জনক’৷ 

আরও পড়ুন- পুলিশ পরিবারের ছেলে থেকে কুখ্যাত গ্যাংস্টার হয়ে ওঠা ভুল্লারের কাহিনী

বাজ পড়ার সময় একেবারেই গাছের নীচে দাঁড়ানো যাবে না৷ প্রশাসনের তরফে বারবার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু অন্যদিক থেকে দেখলে এই গাছই বজ্রপাতের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হতে পারে৷ কারণ পরিবেশবিদরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং দূষণের জেরেই বাতাসে ভাসমান ধূলিকনার জন্য অতিরিক্ত বাজ পড়ছে৷ এক বছরের মধ্যে চূড়ান্ত ভাবে বেড়ে গিয়েছে বঙ্গে বজ্রপাতের পরিমাণ৷ গত বছর যেটা ছিল ৭ লক্ষ ৬১ হাজার৷ এই বছর তা ১৫ লক্ষ ২১ হাজার৷ এক বছরের মধ্যে ৯৯.৭৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে বজ্রপাতের পরিমাণ৷ 

গত রবিবার ও সোমবার ভায়বহ বাজ পড়ে বাংলায় মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের৷ কেন এই বজ্রপাত তা নিয়ে বিশ্লেষণে বসেছেন আবহাওয়াবিদরা৷ তার উপর বাজ পড়ার পরিসংখ্যানও যথেষ্ট উদ্বেগজনক৷ মৌসমভবন সূত্রে খবর, সোমবার কয়েকঘণ্টার মধ্যে মোট ৬১ হাজার ৩৬৪টি বাজের উৎপত্তি হয়েছিল৷ এর মধ্যে আকাশেই মিলিয়ে গিয়েছে ২২ হাজার ৭৯৬টি এবং মাটিতে পড়েছে ৩৮ হাজার ৫৬৮টি বাজ৷

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পুর্নবসু চৌধুরীর কথায়, বজ্রপাত কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে গাছ৷ এক্ষেত্রে গাছকে দুটো ভাগে ভাগ করা যেতে পারে৷ একদিকে গাছ বাজ শুষে মাটিতে নামিয়ে দেয়৷ অন্যদিকে গাছ বাতাসে ভাসমান ধুলিকনা শুষে নেয়৷ প্রথম পদ্ধতিকে বলা হয় লাইটনিং অ্যারেস্টার৷ এবং দ্বিতীয় পদ্ধতিকে বলা হয় লাইটনিং রেজিস্টার৷ এক্ষেত্রে পরিবেশবিদরা আরও বলছেন, বৃক্ষরোপনের সময় কোন ধরনের গাছ লাগানো উচিত তা নিয়ে আগেই চিন্তাভাবনা করতে হবে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *