কলকাতা: দলে ফিরতে চেয়ে ইতিমধ্যেই খোলা চিঠি দিয়েছিলেন তিনি৷ এবার তৃণমূলে ফিরতে ‘কাতর’ আর্জি জানালেন সোনালী গুহ৷ বললেন, বিজেপি’র থেকে কোনও প্রত্যাশাই ছিল না৷ রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গেও মানিয়ে নিতে পারিনি৷ ফিরতে চাই তৃণমূলেই৷ বললেন, দিদি যেদিন ডাকবেন, সেদিনই যাব৷
আরও পড়ুন- তৃণমূলে ফিরেই শুরু ‘দল ভাঙার খেলা’, ১ সাংসদ ও ১০ BJP বিধায়ককে ফোন মুকুলের
ভোটের আগে টিকিট না পেয়ে অভিমানে দল ছেড়েছিলেন সাতগাছিয়ে কেন্দ্রের চার বারের বিধায়ক সোনালী গুহ৷ প্রকাশ্যে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি৷ এর পর মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে যোগদান করেছিলেন বিজেপি’তে৷ যদিও বিজেপি’তে গিয়ে টিকিট চাননি সোনালী৷ বলেছিলেন শুধু প্রচারের কাজ করতে চান৷ তবে তিনি আর বিজেপি’তে থাকতে চান না৷ ভুল স্বীকার করে ফিরতে চান নিজের ঘরে৷ প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না৷’ যদিও সোনার চিঠির জবাবে এখনও সাড়া দেননি মুখ্যমন্ত্রী৷
গতকাল প্রত্যাবর্তন হয়েছে মুকুল রায়ের৷ তার আগে থেকেই তৃণমূলে ফেরার আর্জি জানিয়েছিলেন সোনালী৷ এদিন একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘জল ছাড়া মাছ যেমন বাঁচতে পারে না, আমিও তেমন মমতা দি’কে ছাড়া বাঁচতে পারছি না৷ ওঁনার সঙ্গে ৩২ বছরের পারিবারিক সম্পর্ক৷ দলে ফিরতে চাই এই উপলব্ধি অনেক দিন আগেই হয়েছে৷ সেকথা দিদিকে জানিয়েওছি৷ ভুল সংশোধনের সুযোগ চেয়েছি৷’’
আরও পড়ুন- ‘ভবিষ্যতে কী হবে জানি না’, মুকুল ঝরতেই দলবদলের জল্পনা উস্কে ‘বেসুরো’ সুনীল সিং
বিজেপি’র সঙ্গে কি মানিয়ে নিতে পারছিলেন না? সোনালী বলেন, ‘‘আমি শুনেছিলাম রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ নাথুরাম গডসের জন্মদিন পালন করে৷ পরে দেখলাম বিজেপি’ও গডসের জন্মদিন পালন করছে৷ আমি অদ্যন্ত গান্ধীবাদী একজন মহিলা৷ এটা মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়৷ অপরাধ বোধ কাজ করেছিল৷ তাছাড়া খাপ খাওয়াতেও পারছিলাম না৷’’ সোনালী আরও জানান, ‘‘দিলীপবাবুকে সম্মান জানিয়েই বলছি, আমাকে ক্ষমতা লোভীর দলে ফেলবেন না৷ আমি ৩২ বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাটিয়েছি৷ আমি সেদিন ওঁনার সঙ্গে গিয়েছিলাম, যেদিন উনি যাদবপুর কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছিলেন৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘যদি দলে ফিরি তাহলে একজন সৈনিকের মতোই কাজ করব৷’’ কোনও দাবি নেই তাঁর৷ আপাতত দলের সবুজ সংকেতের অপেক্ষা৷