এক বছর ধরে প্রতারণার পরিকল্পনা দেবাঞ্জনের! এখনো পর্যন্ত ২ হাজার জন পেয়েছে ভুয়ো ভ্যাকসিন

এক বছর ধরে প্রতারণার পরিকল্পনা দেবাঞ্জনের! এখনো পর্যন্ত ২ হাজার জন পেয়েছে ভুয়ো ভ্যাকসিন

02fc768cac371c86a85c2c903f5c6e57

কলকাতা: কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেব বিগত এক বছর ধরে প্রতারণার পরিকল্পনা করেছিল। প্রথমে ঠিক করেছিল পিপিই কিট এবং মাস্কের ব্যবসা করবে। কিন্তু পরে রাজনৈতিক যোগাযোগ বাড়িয়ে ভ্যাকসিনের ক্যাম্পের আয়োজন করতে শুরু করে সে। জাল স্টিকার বানিয়ে বোতলের লেবেল তৈরি করেছিল সে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। জানা গিয়েছে, এখনো পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার জনকে জাল ভ্যাকসিন দিয়েছে সে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তার সহযোগী শান্তনু মান্না বলে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে বিগত এক বছর ধরে এই প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিল দেবাঞ্জন দেব। প্রথমে কয়েকদিন মাস্ক এবং পিপিই কিটের ব্যবসা করলেও পরে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ব্যবসায় মন দেয় সে। ধীরে ধীরে নিজের রাজনৈতিক যোগাযোগ বাড়াতে থাকে এবং পুরসভার প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি করে। এরপর ধীরে ধীরে নিজেকে আইএএস অফিসার পরিচয় দিয়ে একাধিক জায়গায় মাস্ক থেকে শুরু করে স্যানিটাইজার বিতরণ, ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প খোলার কাজ শুরু করে দেবাঞ্জন। এই কারণেই এক ওষুধের দোকান থেকে পুরসভার জয়েন্ট কমিশনের পরিচয় দিয়ে প্রায় ৮০ হাজার টাকার ইঞ্জেকশন কিনে ছিল সে। দোকানদার ২২ হাজার টাকা পেলেও এখনো বাকি টাকা পাননি বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তাদের। এর পাশাপাশি দেবাঞ্জনের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে পুরসভার জাল স্ট্যাম্প এবং লেটারহেড।

আরও পড়ুন- সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করেছেন রাজ্যপাল, লোকসভার স্পিকারের কাছে নালিশ অধ্যক্ষ বিমানের

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জালিয়াতি করার জন্য দেবাঞ্জন কলকাতার দুটি বেসরকারি ব্যাংকে আলাদা আলাদা ভাবে অ্যাকাউন্ট খোলে। সেই অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে পুরসভার নগর পরিকল্পনা বিভাগের দুই আধিকারিকের নাম ব্যবহার করেছিল সে। কিন্তু পরে জানা গিয়েছে পুরো ব্যাপারটাই ভুয়ো কারণ ওই নামের কোনো আধিকারিক পৌরসভায় কাজ করেন না। দেবাঞ্জন যে দোকান থেকে ইনজেকশন কিনে ছিল সেই দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে এখন বাকি সবকিছু জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *