হাওয়ালা কাণ্ডে ধনকড়ের নাম ওঠার পরেই মৃত্যু মূল পাণ্ডে সুরেন্দ্র জৈনের, রহস্য দেখছে তৃণমূল

হাওয়ালা কাণ্ডে ধনকড়ের নাম ওঠার পরেই মৃত্যু মূল পাণ্ডে সুরেন্দ্র জৈনের, রহস্য দেখছে তৃণমূল

কলকাতা: হাওয়ালা জৈন মামলায় রাজ্যপালের নাম জড়িয়ে শোরগোল ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ বোমা ফাটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নাম ছিল জৈন হাওয়ালা মামলার চার্জশিটে৷ এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, তৃণমূল যেদিন হাওয়ালাকাণ্ডে রাজ্যপালের নাম প্রকাশ্যে আনল, সেদিনই সাংবাদিক বিনীত নারায়ণ ফেসবুক লাইভে এসে বলেছিলেন হাওয়ালা কাণ্ডে যুক্ত ছিলেন জগদীপ ধনকড়৷ টাকা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি৷ কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় হল, ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও রাজ্যপাল নিশ্চুপ৷ যিনি প্রতি মুহূর্তে টুইট করে৷ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে, তিনি চুপ কেন? শুধু তাই নয় আরও এক বিস্ফোরণ ঘটান তৃণমূল সাংসদ৷ 

আরও পড়ুন- ‘ত্রিপুরায় ঘর ছাড়া বিরোধীরা, মহিলারা অত্যাচারিত, মানবাধিকার কমিশন চুপ কেন?’

এর পরেই একটি দিল্লির একটি ইংরেজি দৈনিকের একটি অংশ তুলে ধরেন সুখেন্দু শেখর রায়৷ তিনি বলেন, এই কাগজে এক ব্যক্তির ছবি প্রকাশিত হয়েছে৷ যিনি ২৯ তারিখ রাত্রে মারা গিয়েছেন৷ ইনি আর কেউ নন, সুরেন্দ্র জৈন৷ এই সেই সুরেন্দ্র জৈন যিনি হাওয়ালা জৈন কাণ্ডের মাথা৷ যাঁর কাছে বিদেশ থেকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদ্দিনের টাকা আসত৷ সুখেন্দুবাবু বলেব, আশ্চর্যজনকভাবে তৃণমূলের সাংবাদিক সম্মেলন এবং সাংবাদিক বিনীত নারায়ণের ফেসবুক লাইভের ঠিক পরের দিনই তিনি মারা গেলেন৷ এটা কাকতালীয় না প্যানিক অ্যাটাক কোনওটাই তাঁর জানা নেই বলেও উল্লেখ করেন সুখেন্দু শেখর৷ তিনি বলেন, আশ্চর্যজনক ভাবে সুরেন্দ্র জৈন মারা গেলেন আর রাজ্যপাল নিশ্চুপ হয়ে গেলেন৷ এর দুটোর মধ্যে সামান্য হলেও কোনও একটা যোগ সাজশ রয়েছে বলেই দাবি তাঁর৷ 

আরও পড়ুন- রাজ্যপালের পিছনে ‘দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী’! কী সম্পর্ক? ছবি দেখিয়ে বিস্ফোরক সুখেন্দু

এখানে শেষ নয়৷ এর পর সঞ্জয় কাপুরের লেখা ‘ব্যাড মানি, ব্যাড পলিটিক্স’ বই থেকেও কিছু বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদ৷ যেখানে প্রাক্তন মন্ত্রী জগদীপ ধনকড়ের নাম ও তার পাশে ৫.২৫ লেখা রয়েছে৷ এখানেই প্রশ্ন উঠছে, এই জগদীপ ধনকড় এবং রাজ্যপাল একই ব্যক্তি নন তো? আবার অন্য একটি তথ্য বলছে, জনতা দলের প্রাক্তন সাংসদ জগদীপ ধনকড় ১৯৯১ সালে এপ্রিল মাসের মধ্যে ১৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়েছেন৷ তিন-চারটি ইনস্টলমেন্টে পাঠানো হয়েছিল৷ এর অর্থ কী? সুখেন্দুবাবু বলেন, পশ্চিম বাংলার রাজ্যপালও  এক সময় জনতা দলের সাংসদ ছিলেন৷   ফলে এই ব্যক্তে রাজ্যপাল কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে৷      
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − seven =