বাইকে ‘আদি’ নামটা দেখেই বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠেছিল, বিবেকান্দের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ জামবনি

বাইকে ‘আদি’ নামটা দেখেই বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠেছিল, বিবেকান্দের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ জামবনি

127da45c055fe178ca35554ebb426849

কলকাতা: বৃহস্পতিবার দুপুরে রেড রোডের ভয়াবহ দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তরতাজা এক পুলিশ কর্মীর প্রাণ৷ ঘাতক বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন জামবনির বাসিন্দা বিবেকানন্দ দাভে৷ প্রাণোচ্ছ্বল এই যুবকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম৷ বাকরুদ্ধ তাঁর পরিবার৷ 

আরও পড়ুন- রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ব্রাত্য! সংঘাতের আবহে কী নিয়ে আলোচনা

একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েই দিশেহারা হয়ে পড়েন আশিশ দাভে এবং মিনতি দাভে৷ ১৫ বছর আগে পুলিশে চাকরি পেয়ে কলকাতায় চলে এসেছিলেন বিবেকানন্দ৷ মাস খানেক আগে ছেলের সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল তাঁদের৷ বিবেকানন্দ থাকতেন ঝাড়গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে৷ তাঁর স্ত্রী জামবনি ব্লকের বেলদা হাইস্কুলের শিক্ষিকা। টিভি দেখেই প্রথম দুর্ঘটনার খবরটি জানতে পেরেছিল তাঁর পরিবার৷ কিন্তু তখনও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, এটা তাঁদেরই বিবেকানন্দ৷ কিন্তু বাসের তলায় আটকে থাকা ভাঙা বাইকের উপর পুলিশ আর আদি নামের স্টিকার দেখার পরেই শিউড়ে উঠেন তাঁরা৷ 

বৃহস্পতিবার দুপুর রেড রাডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফোর্ট উফলিয়ামের পাঁচিল ভেঙে ঢুকে পড়েছিল মেটিয়াবুরুজ-হওড়া রুটের অভিশপ্ত বাসটি৷ সেই সময় বাইক নিয়ে যাচ্ছিলেন বিবেকানন্দ৷ বাসের চাকায় পিষ্ট হন তিনি৷ পরে ক্রেনের সাহায্যে বাসটি সরিয়ে অচৈতন্য অবস্থায় বার করে আনা হয় পুলিশ কর্মী বিবেকানন্দ দাভেকে৷ নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে৷ বেলা ১২টা নাগাদ টিভি দেখে প্রথম দুর্ঘটনার খবরটি জানতে পেরেছিলেন বিবেকানন্দর খুরতুতো ভাই পবিত্র৷ তিনি বলেন, ‘টিভি দেখে প্রথম খবরটা জানতে পারি৷ বাসের চাকার নীচ থেকে একটি হাত বেড়িয়ে ছিল ওঁর৷ তার উপর বাইকের উপর আদি নামটা দেখেই বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠেছিল৷ ছেলের মৃত্যুর খবরে কাকু-কাকিমা একেবারে ভেঙে পড়েছে৷’

আরও পড়ুন- মোদীর রাজ্যের ইলিশ উঠছে বাঙালির পাতে!

বিবেকানন্দ ছিলেন কলকাতা পুলিশ  রিজার্ভ ফোর্সের কনস্টেবল৷ লেখাপড়ার জন্য বিবেকানন্দ থাকতেন ঝাড়গ্রাম৷ একটি ৮ বছরের ছেলে রয়েছে তাঁর৷ গ্রামের হাসিখুশি, মিশুকে ছেলের এই করুণ পরিণতিতে হতবাক প্রতিবেশীরা৷     
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *