মোদীর রাজ্যের ইলিশ উঠছে বাঙালির পাতে!

মোদীর রাজ্যের ইলিশ উঠছে বাঙালির পাতে!

দেবময় ঘোষ:  মোদির রাজ্যের ইলিশ উঠছে বাঙালির পাতে! বলেন কী! তথ্যটি শুনেই রীতিমত চক্ষু চরকগাছে সল্টলেকের এক ভোজন রসিক ভদ্রলোকের। এমন তো হওয়ার কথা ছিলই না। কিন্তু কপাল দোষে হয়েছে হয়ত। মেনে নিতে হবে। ঘূর্ণিঝড় আমফান এবং তার পরে যশের তাণ্ডবে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার ক্ষয়ক্ষতি কম হয়নি। আরও যা হয়েছে তা হল, রাজ্যের নদীগুলির থেকে কিছু সময়ের জন্য মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে মাছের রাজা ইলিশ।

ব্যাপারটা কী রকম? প্রশ্ন এক ইলিশপ্রেমী ভোজন রসিকের। উত্তরটি দিচ্ছেন রাজ্যের ‘ফিস ইমপোর্টার এসোসিয়েশনে’র সভাপতি অতুল চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, “এই ঘূর্ণিঝড়গুলি অনেক পরিমান নদীর জল সমুদ্রে বাহিত করেছে। নদীর মিষ্টি জল এখন সমুদ্রেই রয়েছে। সেই কারণে, ইলিশ মাছ নদীতে এবছর এখনও আসেনি।”

তবে বাজারে যা পাওয়া যাচ্ছে তা কোথাকার ইলিশ? আদৌ ইলিশ তো? আস্বস্ত করছে অতুলবাবু। তিনি বলেন, “চিন্তার কোনও কারণে নেই। সঠিক ইলিশ মাছ বাংলার বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু, ওই মাছগুলি এই বছরের নয়। গত বছরের মাছ। গুজরাট, মহারাষ্ট্র থেকে আনা হয়েছিল। কিছু মাছ আছে মায়ানমারের। হিমঘরে সুরক্ষিত ছিল। তাই এখন বাঙালির পাতে উঠেছে।”

মোটের উপর এই যে, মোদি কিংবা ঠাকরের রাজ্যের মাছ বাঙালির পেতে। কিন্তু বাংলায় ইলিশ কি একেবারেই নেই? ফিস ইমপোর্টার এসোসিয়েশনে’র সভাপতি জানাচ্ছেন, ডায়মন্ড হারবার থেকে অল্প কিছু মাছ উঠছে। কিন্তু আকারে ছোট এবং পরিমানে যা নগণ্য।

কতদিন কাটবে এই পরিস্থিতি। মাছ ব্যবসায়ীদের অনুমান, এখন ভরা কোটাল চলছে। তবে আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যেই নদীতে হু-হু করে ইলিশ ঢুকবে। অতুলবাবুর কথায়, “এটা আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি সময়। চলতি মাসের শেষে বা শ্রাবণ মাসের শুরুতে ইলিশ আসবেই। ভাদ্র মাসেও পাওয়া যাবে। এই পরিস্থিতি নতুন নয়। আমরা আগেও এই রকম পরিস্থিতির মুখে পড়েছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − five =