শুভেন্দুর প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে কাঁথি পৌঁছল CID

শুভেন্দুর প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে কাঁথি পৌঁছল CID

1b655673e4cd43489411daf3c77fe365

কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারী প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যুর তদন্তে কাঁথি থানায় পৌঁছল সিআইডি অফিসারদের টিম৷ আজ দুপুর ১২টা নাগাদ কাঁথি থানায় এসে পৌঁছয় সিআইডি’র তিন সদস্যের দল৷ কাঁথি থানার আইসি-র সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টার মতো বৈঠক করেন তাঁরা৷ সেখান থেকে বেড়িয়ে সোজা চলে যায় শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর ব্যারাকে৷

আরও পড়ুন- সময়ে সময়ে টাকা পৌঁছে যাচ্ছে বিনয় মিশ্রের কাছে! অনুমান করছে সিবিআই

 
শুভব্রত চক্রবর্তীর হত্যা মামলার তদন্ত চেয়ে মামলা রুজু হওয়ার পরেই নথিপত্র নিতে কাঁথি পৌঁছয় গোয়েন্দা দল৷ রহস্য উদঘাটনে শুভব্রতর সহকর্মী ও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলছেন সিআইডি অফিসাররা৷ তবে এখান থেকে সিআইডি’র অফিসাররা কোথায় যাবেন, তা অবশ্য জানানো হয়নি৷ জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে কাঁথি থানায় পৌঁছনোর পরেই যাবতীয় নথি ও তথ্য সংগ্রহ করে সিআইডি৷ কী ভাবে তদন্তে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা জানতে চাওয়া হয়ে৷ সেখান থেকে তাঁরা পৌঁছন  পূর্ব মেদিনীপুরের সেই ব্যারাকে যেখানে ২০১৮ সালে শুভব্রত চক্রবর্তী নিজেকে গুলিবিদ্ধ করেছিলেন৷ ওই দিন ব্যারাকে কারা কারা ছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলবেন অফিসাররা৷ শুভব্রত কোনও ভাবে মানসিক চাপে ছিলেন কিনা, তাও জানার চেষ্টা করা হবে৷ পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের বাকি যাঁরা সেই সময় শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তায় ছিলেন তাঁদের সঙ্গেও কথা বলবেন সিআইডি অফিসাররা৷ মূলত তাঁরা জানতে চাইবেন, সহকর্মীদের সঙ্গে শুভব্রত কোনও কথা শেয়ার করেছিলেন কিনা৷ কারণ শুভব্রতর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে রহস্যজনক বলেই উল্লেখ করা হচ্ছে৷ এই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে সিআইডি৷ 

আরও পড়ুন- নজরে চব্বিশ! এবার দিল্লিতেও ২১ জুলাই পালন করবে তৃণমূল

শুভব্রতর স্ত্রীর এফআইআরের ভিত্তিতেই আসরে নেমেছে রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে গতকাল প্রায় ৫ ঘণ্টা শুভব্রতর স্ত্রী সুপর্ণা চক্রবর্তী ও দাদা দেবব্রত চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসবাদ করে সিআইডি।  শুভব্রতর দাদা বলেন, দেবব্রত যদি আত্মহত্যা করেও থাকেন, তাহলে কেন? কার প্ররোচনায়? এই উত্তরটাই আমরা জানতে চাই৷  প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী৷ তাঁর স্ত্রী সূপর্ণা বলেন, ৬-৭ বছর শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাঁর স্বামী৷ কী ভাবে তিনি আচমকা গুলিবিদ্ধ হলেন? কেনই বা তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসতে এত দেরি করা হল? সেই সঙ্গে তিনি এও জানান শুধুমাত্র আতঙ্কে এতদিন মুখ বন্ধ রেখেছিলেন৷ তিনি এটাও মনে করেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনি হয়তো সুবিচার পাবেন৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *