উত্তরাখণ্ডে অ-বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী সরে গেলে বাংলায় নয় কেন? উপনির্বাচন প্রসঙ্গে শুভেন্দু

উত্তরাখণ্ডে অ-বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী সরে গেলে বাংলায় নয় কেন? উপনির্বাচন প্রসঙ্গে শুভেন্দু

747445ec4b2e30cc5a1b6d46115478cf

কলকাতা: রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে তাই উপনির্বাচন সম্ভব। এমনই দাবি তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং খোদ সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, রাজ্যের ভাইরাস পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এবং ভ্যাকসিন শেষ না হওয়া পর্যন্ত উপনির্বাচন হওয়া উচিত নয়। এই প্রেক্ষিতে আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা করেছেন তিনি।

শুভেন্দুর কথায়, রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য লোকাল ট্রেন চালাতে পারছে না রাজ্য সরকার এদিকে উপনির্বাচন করতে চাইছে! চুঁচুড়ার এক দলীয় কার্যালয় এসে তিনি আরো বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে তারা দেখাচ্ছে শাসক দল কিন্তু কেন! উত্তরাখণ্ডে অ-বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে একজন বিধায়ককে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে, এদিকে বাংলায় ২১০-১২ জন বিধায়ক রয়েছেন কিন্তু কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা যাচ্ছে না। উত্তরাখণ্ডে যদি ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাহলে বাংলায় কেন নেওয়া হবে না এই প্রশ্ন তুলেছেন। এর পাশাপাশি উপনির্বাচন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা করে তিনি বলেছেন, পুরসভার ভোট করাতে পারে না এবং লোকাল ট্রেন চালাতে পারছে না বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে কিন্তু উপনির্বাচন করাতে চাইছে। বোঝা যাচ্ছে যে রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে নয় তাই এই পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই উপনির্বাচন সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট বক্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর। 

আরও পড়ুন- ভুয়ো সিবিআই আধিকারিকের সঙ্গে কাদের যোগ, খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা

উল্লেখ্য, রাজ্যের শাসক দল উপনির্বাচন নিয়ে প্রচন্ড সক্রিয়তা দেখাচ্ছে বিগত কয়েক দিন ধরেই। তাদের তরফ থেকে স্পষ্ট দাবি করা হয়েছে যে বাংলায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে তাই উপনির্বাচন করানো যেতে পারে। ইতিমধ্যে দিল্লি গিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এক দফা বৈঠক করেছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিনিধি দল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজেই জানিয়েছেন যে বাংলার অনেক জায়গায় দৈনিক সংক্রমণ শূন্য তাই উপনির্বাচন হলে কোনো অসুবিধা হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *