শুনানি হল না, পিছিয়ে গেল রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা

শুনানি হল না, পিছিয়ে গেল রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা

0feaf4c2ad9cb9aae9f66ea5e14d12c7

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের তরফে আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না শুনানিতে। সেই প্রেক্ষিতেই পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। গত ১ জুলাই কেন্দ্র এবং রাজ্যকে নোটিশ জারি করেছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু আজ সেই মামলার শুনানি থাকলেও কেন্দ্রের তরফে কেউ হাজির ছিলেন না। তাই দুই সপ্তাহ পিছিয়ে গেল এই মামলার শুনানি।

পশ্চিমবঙ্গের রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার জন্য কেন্দ্রকে নির্দেশ দেওয়া হোক, এই মর্মে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে এই রাজ্য এবং কেন্দ্রকে নোটিশ পাঠিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আজ সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও কেন্দ্রের তরফের আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। তাই এদিন মামলা মুলতবি হয়ে যায়। দুই সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার শুনানি। মামলাকারীর স্পষ্ট দাবি ছিল যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি না হলে রাজ্যের শান্তি এবং অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি আগের মত হবে না। এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের পর ব্যাপক হিংসার ঘটনা কেন ঘটলো এবং পরিস্থিতি কেন জটিল হয়ে গেল তার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করা হয়েছিল। গোটা বিষয়ের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছিল শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে। তবে আজ কেন্দ্রের গরহাজির থাকার কারণে এই মামলার শুনানি হল না এবং তা পিছিয়ে গেল।

আরও পড়ুন- দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ রাজ্য! বেআইনি নির্মাণ নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে রাজ্যে ব্যাপক নেশা হয়েছে এবং বিজেপি কর্মীরা ব্যাপকভাবে হিংসার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির নেতাদের সুরে সুর মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালও হিংসার ঘটনা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সরকারকে একহাত নিয়েছেন। অন্যদিকে দিল্লির নেতৃত্ব তো বটেই এমনকি মানবাধিকার কমিশনও রাজ্যকে তুলোধনা করেছে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে। সব মিলিয়ে আজ শীর্ষ আদালতে গুরুত্বপূর্ণ শুনানি ছিল কিন্তু কেন্দ্রের কারণেই তা হল না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *