কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের বুকে ৩৪ বছর রাজত্ব করেছে বামেরা৷ তবে সবুজ ঝড়ে এবার তাঁদের হাত শূন্য৷ গেরুয়া ঝড়ে হাতছাড়া হয়েছে ত্রিপুরাও৷ অস্তিত্ব জিইয়ে রেখেছে শুধু মাত্র কেরল৷ কিন্তু এর পরেও দলের সম্পত্তি সত্যিই উল্লেখযোগ্য৷ সম্পত্তির দৌড়ে বাম শিবিরের ধারে কাছেও নেই তৃণমূল৷
আরও পড়ুন- দুয়ারে সরকারের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নামে তোলাবাজি নয়, সতর্ক করল নবান্ন
ফি বছর রাজনৈতিক দলগুলিকে তাদের সম্পত্তির খতিয়ান পেশ করতে হয়৷ কত আয়, ব্যয়ই বা কত তা জানাতে হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে৷ ২০১৯-২০ সালে প্রায় প্রতিটি দলই তাদের হিসাব জমা দিয়েছে৷ সেই অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করল কমিশন৷ তাতে দেখা গিয়েছে সিপিএমের সম্পত্তি বেড়ে হয়েছে ৫৬৯ কোটি টাকা। অথচ বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পত্তির পরিমাণ এর অর্ধেকেরও কম। ঘাসফুল শিবিরের সম্পত্তির পরিমাণ ২৪৭ কোটি টাকা। কমিশনের কাছে তৃণমূল ও সিপরিএম যে খতিয়ান পেশ করেছে, তাতে সম্পত্তি, বিশেষ খাতে জমা পুঁজির উল্লেখও করা হয়েছে৷ উল্লখ রয়েছে তাদের বাজারে বিনিয়োগের পরিমাণও৷ জানা গিয়েছে সিপিএমের ঋণের পরিমাণ ৭২ কোটি টাকার বেশি। অন্যদিকে, তৃণমূলের ঋণের পরিমাণ ১ কোটি টাকার মতো৷
আরও পড়ুন- ‘আগে BJP-র ইতিহাসটা জানুন, শুধু হুক্কা হুয়া করলে হয় না’, শুভেন্দুকে খোঁচা কুণালের
কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের শেষে ২১০ কোটি ১৯ লক্ষের কাছাকাছি সম্পত্তি ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। গত এক বছরে শাসক দলের সম্পত্তি বেড়েছে ৩৭ কোটি টাকার কিছু বেশি৷ অন্যদিকে বার্ষিক রোজগারেও তৃণমূলকে টেক্কা দিয়েছে সিপিএম। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সিপিএমের আয় ছিল ১৫৮ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। সেখানে ক্ষমতায় থেকেও তৃণমূলের আয় ছিল ১৪৩ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা।
তবে সম্পত্তির দৌড়ে বিজেপি-র ধারে কাছেই কোউ নেই। ২০১৯-২০ সালে গেরুয়া শিবিরের আয় ছিল ৩,৬২৩ কোটি টাকা। এবং বছর শেষে তাদের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা।