কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশকে মান্যতা নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ৷ পাশাপাশি শোকজ করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের ডিসি এসএসডি রশিদ মুনি খানকে৷ এই রায় ঘোষণার পর ইতিমধ্যেই তৃণমূল এবং বিজেপি তর্কাতর্কি শুরু হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল চরম অসন্তুষ্ট হয়েছে এই রায়ে, এদিকে নৈতিক জয় দেখছে বিজেপি। এই ইস্যুতেই ‘রাজনীতির উর্ধ্বে’ উঠে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, এই রায় মানবতার জয়।
আরও পড়ুন- NHRC-এর সুপারিশে স্বীকৃতি, ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় CBI তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টে
শুভেন্দুর কথায়, আজকের রায়ে মানবতার জয় হয়েছে। কারণ, ভোটের পর এই রাজ্যের সন্ত্রাস স্বাধীনতা পরবর্তী সন্ত্রাসকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। তিনি বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যে চার রাজ্যে (কেরল, অসম, তালিমনাড়ু এবং পুদুচেরি) নির্বাচন হয়েছিল সেখানে ভোটের পর কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। কাউকে পালিয়ে যেতে হয়নি, কোনও মৃত্যু হয়নি। কিন্তু বাংলাতে ভোট গণনার দিন দুপুর থেকে হিংসা হয়েছে। এদিকে এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের পর যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমরা সবাই লজ্জিত৷ দুঃখিত৷ গণতন্ত্রকে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে৷ সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে নষ্ট করা হয়েছে৷ অথচ মুখ্যমন্ত্রী বা সরকার সেটা মানতে চাননি৷ কিন্তু আদালত সেটা মেনে নিয়েছে৷ কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে৷ সিট গঠন করতে বলেছে৷ সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে বিষয়টি দেখার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে৷ এবার হয়তো অত্যাচারিত মানুষ ও লাঞ্ছিত মহিলারা সুবিার পাবেন৷ দোষীরা শাস্তি পাবে৷”
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা: হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ‘সুপ্রিম’ ভাবনা রাজ্যের
তবে রায় ঘোষণার পর রাজ্য সরকারের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷ যদিও সূত্রের খবর, রায় ঘোষণার পরেই রাজ্য সরকারের তরফে বিশিষ্ট আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে৷ রায়ের প্রত্যায়িত কপি হাতে পাওয়ার পরেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তা ভাবনাও শুরু করেছে তৃণমূল৷ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার৷ কারণ রাজ্যের তরফে বারবার বলা হয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই বিশেষ টিম পক্ষপাতদুষ্ট৷ রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা না বলেই মন গড়া রিপোর্ট দিয়েছেন তাঁরা৷