কলকাতা: স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নে রাজ্য সরকার গোটা রাজ্যে ৪ হাজার ৬৬১ টি নতুন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ২০০ টি শহর এলাকায় এবং বাকি ৪ হাজার ৪৬১ টি গ্রামীন এলাকায় তৈরি করা হবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। প্রস্তাবিত উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির জন্যে জমি চিহ্নিত করার পাশাপাশি কোন সরকারি ভবন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকলে সেটি চিহ্নিত করতে জেলাশাসক ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রতি ৫ হাজার জনসংখ্যার জন্য একটি করে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রয়োজন। বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ১ হাজার ৪০০ টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে রাজ্যের গঠিত SIT-এর মাথায় মঞ্জুলা চেল্লুর
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে এই বিষয়টি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ ইতিমধ্যেই করোনা তৃতীয় ঢেউয়ের ইঙ্গিত মিলেছে আর রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠমো যে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে এই ঢেউ আটকাতে তার কোনও রকম ইঙ্গিত নেই। সেই প্রেক্ষিতেই এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত পরবর্তী ক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকর হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে আবার করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর কাল জরুরি বৈঠকে বসছে। নতুন করে সংক্রমণের আশঙ্কা আটকাতে ৭টি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ওপর বিশেষ নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, চিন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবোয়ে, বসনিয়া, এই ৭টি দেশ থেকে নতুন প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে। এই নিয়ে কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই নতুন গাইড লাইন জারি করেছে। এ রাজ্যে এই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই বৈঠকে আলোচনা হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- কবে ভ্যাকসিন পাবে শিশু-কিশোররা? স্পষ্ট করে দিল কেন্দ্র
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছে ৩৮ হাজার ৯৪৮ জন। একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২১৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৩ হাজার ৯০৩ জন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৪ হাজার ৮৭৪ জন।