কতগুলি স্পর্শকাতর বুথ? জানতে চাইল কমিশন, ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি

কতগুলি স্পর্শকাতর বুথ? জানতে চাইল কমিশন, ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি

7feaacca85d290133dd3db252a55710d

কলকাতা: আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ও মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর কেন্দ্রে সাধারণ নির্বাচনের জন্য আজ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ওই দিন এই তিন কেন্দ্রে সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে। ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। ১৪ তারিখে তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। এই তিন কেন্দ্রের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের প্রতি সপ্তাহে রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রগুলিতে কোন রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটছে কিনা তার উপরে নজর রাখার কথাও বলা হয়েছে বলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই তিন কেন্দ্রে কতগুলি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে তা চিহ্নিত করে রিপোর্টে উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন- মমতার কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা! জল্পনায় ইতি

কমিশনের তরফে আগেই বলে দেওয়া হয়েছে যে, মনোনয়নপত্র পেশ থেকে প্রচার, সামগ্রিক ভোট পর্বে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কঠোরভাবে কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় কোনও মিছিল করা যাবে না। রিটার্নিং অফিসারের দফরের ১০০ মিটারের মধ্যে মাত্র ৩টি গাড়ি রাখার অনুমতি মিলবে৷ রুদ্ধদ্বার প্রচার সভার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০০ জন অথবা আসন সংখ্যার ৩০ শতাংশ, লোক উপস্থিত থাকতে পারবে৷ যেটি কম হবে সেই অনুপাতে লোক সংখ্যা ঠিক করা হবে৷ কমিশনের তরফে আরও বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ ১ হাজার জন অথবা ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি খোলা জায়গায় প্রচার সভার আয়োজন করতে পারবে। প্রচারে কোনও রকম রোডশো, বাইক র্যালির আয়োজন করা যাবে না। ভোটগ্রহণের ৭২ ঘন্টা আগে প্রচার পর্ব শেষ করতে হবে৷

আরও পড়ুন- শুধু ভবানীপুরের দিন ঘোষণা! কমিশনের সিদ্ধান্তে ‘সন্দেহ’ দিলীপের

উল্লেখ্য, ভোটের দিন ঘোষণা হতেই ভবানীপুর, শমসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল৷ ভবানীপুরের প্রার্থী স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অন্যদিকে শমসেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে তাদের প্রার্থী যথাক্রমে আমিরুল ইসলাম এবং জাকির হোসেন। কিন্তু ভবানীপুরে বিজেপি’র প্রার্থী কে? তা এখনও ঠিক করতে পারেননি দল৷ উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য ছিল, দল চাইলে নন্দীগ্রামের মতো ভবানীপুরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াতে প্রস্তুত তিনি৷ কিন্তু তাঁর ব্যাপারে খুব একটা সম্মতি প্রকাশ করেননি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি স্পষ্ট বলেন, শুভেন্দু অধিকারী একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছে তাহলে আর কতবার হারাবে? একই লোক বারবার হারাবে না, এবার অন্য কেউ হারাবে! 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *