কলকাতা: শিক্ষক বদলির ঘটনায় রাজ্যের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিকাশ ভবনের সামনে যে শিক্ষিকরা বিষ পান করেছিলেন তাদের বদলি আদৌ বৈধ নয় বলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আজ মামলার শুনানিতে বিচারপতি জানিয়েছেন, রাজ্য যে পদ্ধতিতে বদলির নোটিশ পাঠিয়েছে বাজে পদ্ধতিতে বদলি করছে তা বৈধ পদ্ধতি নয়। রাজ্য এখানে কাজ করতে পারে না। শিক্ষকরা সমাজ গড়ার কারিগর। তাদের ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক সমীকরণ চলে না। রাজ্য যে নিয়ম কলকাতা হাইকোর্টে দেখাচ্ছে তা বৈধ নয়। এই মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- BREAKING: মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া আসনে সুস্মিতা দেব, রাজ্যসভার প্রার্থী ঘোষণা তৃণমূলের
বদলির প্রতিবাদে বিকাশ ভবনের সামনে পাঁচ শিক্ষিকার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টায় তোলপাড় হয় রাজ্য৷ শুরু হয় রাজনৈতির তরজাও৷ বিক্ষোভকারীদের মূল অভিযোগ ছিল, লাগাতার আন্দোলন করার ফলে তাঁদের অনৈতিকভাবে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদেই তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে আসেন। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তিও হয়। সেই সময়েই হঠাৎ করে তাঁরা ‘বিষ’ খেয়ে নেন৷ আন্দোলনকারীদের একজন জানান, যে তাঁকে হঠাৎ দিনহাটায় বদলি করে দেওয়া হয়েছে৷ যেটা কখনই হওয়ার কথা ছিল না৷ ‘আত্মহত্যা’ করে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করতে চান বলেই জানিয়েছিলেন। তাঁদের তরফে আরও দাবি করা হয়, যে তাঁদের প্রত্যেকের বয়স ৫০ বছরের ওপরে তা সত্ত্বেও তাঁদের বাড়ি থেকে প্রায় ৬৮ থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে বদলি করা হয়েছে, যেটা বেআইনি।
আরও পড়ুন- শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের
এই বেনজির ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ৷ এফআইআর দায়ের করা হয়৷ বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রে খবর, এই পাঁচ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়৷ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৩ ধারায় কর্তব্যরত সরকারি কর্মীর কাজে বাধার পাশাপাশি ১৮৮, ১৪৪, ৩০৯ (আত্মহত্যার চেষ্টা), ৩৩২-এর মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয় ওই পাঁচ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে৷