‘মেদিনীপুর থেকে ১০০ ছেলে পাঠালেই ত্রিপুরা ঠান্ডা হয়ে যাবে!’ হুঁশিয়ারি সায়নীর

‘মেদিনীপুর থেকে ১০০ ছেলে পাঠালেই ত্রিপুরা ঠান্ডা হয়ে যাবে!’ হুঁশিয়ারি সায়নীর

e36bcf13c8b795924a122cfd909efc02

কলকাতা:  অধিকারী গড় বলে বরাবরই পরিচিত মেদিনীপুরের কাঁথি৷ সেই কাঁথিতে দাঁড়িয়েই বিজেপি’কে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ৷ এক যোগে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে৷ মঙ্গলবার তমলুক সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের আয়োজিত সভায় থেকে ত্রিপুরার ‘খেলা’র ডাক দিলেন সায়নী। শুধু তাই নয়, মেদিনীপুরের ছেলেদের দিয়ে বিপ্লব দেবের দলকে সাফ করার হুঁশিয়ারিও দিলেন তিনি৷ 

আরও পডুন- ‘বাচ্চা মেয়ে হলে এত ভয় কীসের?’ প্রচারে নেমে একহাত নিলেন প্রিয়াঙ্কা

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন সায়নী ঘোষ৷ সেখানে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকেও। এদিন শুধু ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবকেই নয়,  তেপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও৷ পূর্ব মেদিনীপুরে সুতাহাটার সুবর্ণ জয়ন্তী ভবনে যুব তৃণমূলের সাংগঠনিক সভায় দাঁড়িয়ে সায়নীর দাবি, ত্রিপুরায় যুব শক্তিকে দমন করা হচ্ছে৷ লাঠির আশ্রয় নিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী৷ গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে৷ আগুন ধরানো হচ্ছে৷ তাঁর হুঁশিয়ারি, এই অত্যাচার দমন করতে বেশি কিছু করতে হবে না৷ মেদিনীপুরের ১০০ জন ছেলে পাঠিয়ে দিলেই গোটা ত্রিপুরা ঠাণ্ডা হয়ে যাবে৷ কী ভাবে ত্রিপুরাকে সাফ করতে হবে, তা হাতে নাতে শিখিয়ে দেবে৷ 

আরও পড়ুন- ন’বছর পর অবশেষে কার্টুন মামলায় আংশিক ছাড় পেলেন অম্বিকেশ মহাপাত্র

পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে সায়নী বলেন, ‘ভবানীপুর থেকে ভোটে জিতে শুভেন্দু অধিকারীর নাকের ডগা দিয়ে হেঁটে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’  এখানেই থামেননি সায়নী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুলি আওড়ে তিনি বলেন,  ‘‘দলে যে সকল গদ্দাররা লুকিয়ে রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করুন। এই গদ্দারদের ধরতে পারলেই ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দল থেকে বের করে দিন৷’’ তাঁর কথায়, ‘‘মেদিনীপুরের মাটি বিপ্লবের মাটি। তবে এই মাটিতেই একদিন মমতা বন্দ্যপাধ্যায় দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছিলেন। তাই এই মাটিতে লড়াইটা ছিল ঘর শত্রু বিভীষণের বিরুদ্ধে। আমরা ১১টার মধ্যে ৯টা গোল দিয়ে দিয়েছি৷ দারুণ খেলা হয়েছে৷ আমরা মানুষের ভোটে ক্ষমতায় এসেছি৷’’ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *