গালওয়ান সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল ৪ সেনার! অবশেষে স্বীকারোক্তি চিনের

গালওয়ান সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল ৪ সেনার! অবশেষে স্বীকারোক্তি চিনের

de61b8cb71285cddc8b50e7222c6933f

লাদাখ: সংঘর্ষের দীর্ঘ আট মাস পর সীমান্তে শান্তি ফেরার ইঙ্গিত মিলেছে দুই দেশের সেনা প্রত্যাখ্যানে। এই সময়ে বড় স্বীকারোক্তি পর্যন্ত করতে হলো চিনকে। বেজিং সরকারের পক্ষ থেকে মেনে নেওয়া হল যে গত বছর জুন মাসের গালওয়ান সংঘর্ষে তাদের ৫ সেনার মৃত্যু হয়েছে। পিপলস লিবারেশন আর্মির দৈনিক সংবাদপত্রে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। চিনের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চেন হঙ্গজুন, চেন শিয়াগ্রং, শিয়াও সিইউয়ান এবং ওয়াং জাইরান, এই ৪ জন সেনার মৃত্যু হয়েছিল গালওয়ান ভ্যালির সংঘর্ষে। চীনের এই স্বীকারোক্তি প্রবল চাপের কাছে নতিস্বীকার বলে উল্লেখ করেছে ভারত।

আরও পড়ুন: সীমান্তে শান্তির ইঙ্গিত, আট মাস পর পিছু হটল ভারত-চিন সেনা

২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকা ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ভারতের ২০ জন জওয়ান শহীদ হন অন্যদিকে, চিনের কমপক্ষে ৪০ জন মারা গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে চিনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। দুই দেশের মধ্যে একাধিক বৈঠক হওয়ার পরেও সমাধান সূত্র মেলেনি। এদিকে ভারতের সেনাবাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়, এই সমস্যার সমাধান একমাত্র সেনাবাহিনীই করতে পারে! সব মিলিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল দিন দিন। সেই সময় চিনের তরফে এমন কোনও স্বীকারোক্তি করা হয়নি। এখন দীর্ঘ আট মাস পর সেনার মৃত্যুর কথা স্বীকার করা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে রাইফেল চালিয়ে খুন! কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার মারাত্মক ভিডিও ভাইরাল

প্রসঙ্গত, সীমান্তে ভারত এবং চিনের যে বিশাল অতিরিক্ত সেনাবাহিনী মোতায়ন করা ছিল এতদিন, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে দুই দেশের তরফে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, এর আগে যে জায়গায় লাল ফৌজের বিশাল মিলিটারি ক্যাম্প দেখা গিয়েছিল এখন তা আর দেখা যাচ্ছে না। চিনের সেনাবাহিনীর পিচু হঠার কারণে ভারতও তাদের সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করেছে। তবে শুধু সেনাবাহিনী নয়, সীমান্তে থাকা যাবতীয় ট্যাংক এবং অন্যান্য অস্ত্রের ভান্ডার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে প্যাংগং এলাকা থেকে সেনা পিছু হটলেও এখনো পর্যন্ত সেনা বহাল রয়েছে গোর্গা, ডেপস্যাং অঞ্চলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *