কলকাতা: গতকাল যা হয়েছে তা এখনও হয়তো কেউ বিশ্বাস করতে পারছেন না। বঙ্গ রাজনীতিতে মনে হয় অঘটন আর চমক এক সঙ্গেই ঘটেছে। বাবুল সুপ্রিয় যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এর পরেই তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপি, সিপিএম একে এক তোপ দাগতে শুরু করেছে তাঁকে এবং অবশ্যই ঘাসফুল শিবিরকেও। এবার বাবুলের নিরাপত্তার ওপর কোপ পড়ল। তাঁর নিরাপত্তা কমিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এতদিন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা অর্থাৎ জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেতেন বাবুল। এবার থেকে তিনি পাবেন ওয়াই ক্যাটেগরির নিরাপত্তা। স্বাভাবিকভাবে বোঝাই যাচ্ছে যে এটি তৃণমূলে যোগদানের জেরেই ঘটেছে।
আরও পড়ুন- বাবুল তৃণমূলে! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই এখন সত্যি
গতকাল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন আসানসোলের সংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। শাসক দলে যোগ দিয়েই বন্ধু ডেরেক ও’ব্রায়েনকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি৷ বলেন, এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়৷ বরং মানুষের সেবা করার সুযোগ৷ উল্লেখ্য, ৩১ জুলাই রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বাবুল৷ আর ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে৷ সাংসদ হওয়ার জন্য বড় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেতেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকত কমপক্ষে ৭-৮ জন নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু এখন সেটা নেমে আসবে ২-৩ জনে। যদিও বাবুলকে এখন নিরাপত্তা দেবে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন- ধূমকেতুর মতো উত্থান, উল্কার বেগে ‘পতন’, রাজনৈতিক সন্ন্যাস কাটিয়ে এবার তৃণমূলে বাবুল
প্রসঙ্গত, এই ফুল বদল নিয়ে বাবুল জানান, ‘‘মন থেকেই রাজনীতি ছাড়ার কথা বলেছিলাম৷ এর মধ্যে কোনও নাটকীয়তা ছিল না৷ আজকের এই সিদ্ধান্ত কোনও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়৷ এটা একটা সুযোগ৷ যা আমি মন থেকে গ্রহণ করেছি৷’’ তিনি জানান, সবকিছু গত তিন-চার দিনের মধ্যেই ঘটেছে৷ শেষ চার দিনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি৷ বাবুল বলেন, ‘‘রাজনীতি ছাড়ায় কথাটা মন থেকেই বলেছিলাম৷ আমার মনে হয়েছিল ৭ বছর যে কঠিন পরিশ্রম করেছি, রাজ্যের মানুষের জন্য যে কাজ করার চেষ্টা করেছি, সেখানে একটা দাড়ি পড়ে গিয়েছিল৷ এই দাড়ি কেন পড়েছিল আমার জানা নেই৷ এর পিছনে কোনও লজিকও পাইনি৷ শুধু বলতে পারি, গান থেকে দূরে গিয়ে বাংলার মানুষের জন্য কাজ করায় যে প্রচেষ্টা, সেটা ধুলোয় মিশে গিয়েছিল”।