একদিনে তিন কেন্দ্রে ভোট, ছুটি ঘোষণা করল সরকার

একদিনে তিন কেন্দ্রে ভোট, ছুটি ঘোষণা করল সরকার

কলকাতা: ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচন এবং সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভার নির্বাচনের দিন ‘এনআই অ্যাক্টে’ ছুটি ঘোষণা করলো রাজ্য সরকার। ৩০ সেপ্টেম্বর এই তিন জায়গায় ভোট হবে। সোমবার অর্থ দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, তিনটি এলাকার সব সরকারি ও সরকার অধীনস্থ সংস্থা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শ্রম দফতর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বাণিজ্যিক এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান, দোকান, কলকারখানারা সমস্ত কর্মীকে সবেতন ছুটি দিতে হবে। যদি তিন নির্বাচনী এলাকার কোনও বাসিন্দা বাইরে কাজ করেন, তাহলেও ভোট দেওয়ার জন্য তাঁকে ছুটি দিতে হবে। যদি ভোটের পর কোথাও পুনর্নির্বাচন হয় সেক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। এই তিন নির্বাচনী এলাকায় যে সব সরকারি অফিস বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভোট নেওয়া হবে সেগুলি নির্বাচনের আগের দিন , নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরের দিন মিলিয়ে তিন দিন ছুটি থাকবে।

আরও পড়ুন- বড় ধাক্কা কংগ্রেসে! জল্পনা উস্কে দল ছাড়লেন ৫ বারের বিধায়ক মইনুল হক

ভবানীপুরের পাশাপাশি উপনির্বাচন হওয়ার কথা উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গোসাবায়। এছাড়াও বিধানসভায় জিতেও সাংসদ পদে থেকে যাবেন বলে দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিধায়ক পদ ছেড়েছেন বিজেপির দুই সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। সেখানেই উপনির্বাচন হবে। কিন্তু এখনই সেই কেন্দ্রের দিন ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। যেহেতু ভবানীপুর কেন্দ্র সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাই সেই কেন্দ্রের উপনির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেহেতু বিধানসভা ভোটে হেরে গিয়েছিলেন তাই নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগামী ৬ মাসের মধ্যে কোন একটি কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হত না হলে সাংবিধানিক সংকট হতে পারত। সেই কারণেই ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের নিয়ে বেশি উদ্যোগী হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এমন দাবি করেও একাধিকবার দিল্লির নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। 

আরও পড়ুন- সুচ বিঁধিয়ে শিশুকন্যা খুন! অভিযুক্তদের ফাঁসির সাজা

কমিশনের তরফে বলা হয়েছিল, করোনা পরিস্থিতিতে ভোটের আয়োজন করার জন্য একাধিক নিয়ম বলবৎ করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র পেশ থেকে প্রচার, সামগ্রিক ভোট পর্বে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কঠোরভাবে কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে। কমিশনের তরফে আরও বলা হয়েছিল, সর্বোচ্চ ১ হাজার জন অথবা ৫০ শতাংশ লোক নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি খোলা জায়গায় প্রচার সভার আয়োজন করতে পারবে। প্রচারে কোনও রকম রোডশো, বাইক র‍্যালির আয়োজন করা যাবে না। ভোটগ্রহণের ৭২ ঘন্টা আগে প্রচার পর্ব শেষ করতে হবে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − one =