শুধু ভবানীপুর নিয়ে কমিশনকে চিঠি, মুখ্যসচিবের ওপর ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

শুধু ভবানীপুর নিয়ে কমিশনকে চিঠি, মুখ্যসচিবের ওপর ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

high-court-ssc-case-hearing-commission-faces-question

কলকাতা: রাজ্যের মুখ্যসচিব হরে কৃষ্ণ ত্রিবেদীর তীব্র সমালোচনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুধুমাত্র ভবানীপুরের নির্বাচন নিয়ে তিনি চিঠি লিখেছিলেন, সেই ইস্যুতে আজ আদালত মন্তব্য করেছে, রাজ্যের মুখ্যসচিব যেভাবে চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে তাতে মনে হচ্ছে তিনি সরকারি কর্মচারী নন। তিনি একজন রাজনৈতিক দলের সদস্য। বিধানসভার গঠন হয়ে যাবার পরেও একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না হলে কী ভাবে তা সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়, এই প্রশ্ন তোলে আদালত। 

আরও পড়ুন- পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে কি মুকুলই? সিদ্ধান্ত নিতে হবে অধ্যক্ষকে, নির্দেশ হাইকোর্টের

মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ নামায় বিরক্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে, ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের আগেই মুখ্যসচিব হরে কৃষ্ণ ত্রিবেদী জানলেন কী ভাবে যে তার পছন্দের প্রার্থী সেখানে নির্বাচিত হবেন? মুখ্য সচিবের এহেন বক্তব্য কাঙ্ক্ষিত নয়। তবে এই মুহূর্তে আদালত ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করেনি। যদিও, আদালত মনে করছে যে রাজ্যের মুখ্যসচিবের এই ধরণের ভূমিকা একজন সরকারি আধিকারিকের নয়, একজন রাজনৈতিক দলের কর্মীর ভূমিকা হিসেবে মনে হয়। উল্লেখ্য, ভবানীপুরে উপনির্বাচন হবে কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল আইনি জটিলতা৷ তবে উপনির্বাচন করাতে কোনও বাধা নেই বলেই মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ ৩০ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত সূচি মেনেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন হবে৷

আরও পড়ুন- একই পরিবারের ৩ জনকে লক্ষ্য করে গুলি, হত এক, আহত দুই

কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ তাদের রায়ে স্পষ্ট জানায়, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন হতে কোনও বাধা নেই৷ এর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, নির্বাচনের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে বা নির্বাচন বন্ধ করা হোক, এমন কোনও দাবি জানিয়ে মামলা করা হয়নি৷ ফলে ভবানীপুরে উপনির্বাচন করতে কোনও রকম অসুবিধা নেই৷ প্রসঙ্গত, ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল, তার ৬ ও ৭ নম্বর অনুচ্ছেদকে ঘিরেই এই মামলা গড়ায়৷ ৬ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছিল মুখ্য সচিব নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বিতী করবেন৷ এই কেন্দ্রে ভোট না হলে এবং তিনি জিতে আসতে না পারলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে৷ তাই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *