কলকাতা: বিধায়ক হিসাবে শপথ গ্রহণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রথা ভেঙে বিধানসভায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি শপথ নেন নবনির্বাচিত আরও দুই তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন এবং আমিরুল ইসলাম৷
আরও পড়ুন- PAC চেয়ারম্যান পদে মুকুল? হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে স্পিকার
প্রথমে বলা হয়েছিল বেলা ১২টা নাগাদ শপথবাক্য পাঠ করানো হবে৷ কিন্তু পরে সময় বদলে বেলা ২টো করা হয়৷ নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি৷ এবার ভবানীপুর উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে বিধায়ক হিসাবে শপথ গ্রহণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তিন বিধায়কের শপথ গ্রহণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল৷
প্রচলিত রীতি অনুযায়ী বিধায়করা বিধানসভাতেই শপথ নেন৷ বিধানসভায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যক্ষ৷ সেই রীতি মেনে সম্প্রতি ১২জন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সংবিধানের ১৮৮ নম্বর ধারায় এটাও বলা রয়েছে, রাজ্যপালের অনুমতি নিয়ে রাজ্যপাল কিংবা মনোনীত কেউ বিধায়কদের শপথ নেওয়াতে পারেন৷ সেই নিয়ম মেনেই নতুন সরকার গঠিত হওয়ার সময় রাজ্যপাল সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে অনুমতি দিয়েছিলেন৷ প্রোটেম স্পিকার হিসাবে তিনি সমস্ত বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছিলেন৷ কিন্তু সেই সময় ১২ জন বিধায়ক শপথ নিতে পারেননি৷ পরবর্তী কালে অনুমতি নিয়ে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান অধ্যক্ষ৷ রাজ্যপালের কাছে সেই অনুমোদন নেওয়াই থাকে৷ কিন্তু এখানে একটা গোল বেঁধেছিল৷
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রাজভবন থেকে রাজ্যপালের অনুমতি সংক্রান্ত অর্ডার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল৷ ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভায় শপথ নিতে হলে অধ্যক্ষকে রাজ্যপালের কাছ থেকে নতুন করে অনুমতি নিতে হত৷ রাজ্যপাল সেই অনুমতি দেবেন কিনা, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল টানাপোড়েন৷ তবে শেষমেষ জটিলতা কেটে যায়৷ আজ তিন বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান খোদ রাজ্যপাল৷