কলকাতা: ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর আসন পাকা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পরেই তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন দুর্গা পুজো নিয়ে৷ কোনও পুজো কমিটির অনুরোধ ফেরাননি তিনি৷ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একের পর এক পুজো উদ্বোধন করে চলেছেন৷ শনিবারও একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ভবানীপুরে গিয়ে যখন ৭৬ পল্লীর পুজো উদ্বোধন করেন, তখন তাঁর গলায় শোনা যায় আক্ষেপের সুর৷
আরও পড়ুন-একমাত্র উপার্জনকারীর দুটি কিডনি বিকল, স্বামীকে বাঁচাতে সরকারের কাছে কাতর আর্জি স্ত্রীর
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এতগুলো পুজোর উদ্বোধন করলাম, কিন্তু কেউ আমাকে এক কাপ চাও দেয়নি৷ এরা আমাকে চা খাওয়াবে বলেছে৷ আমি খুব খুশি৷’ মুখ্যমন্ত্রীর আক্ষেপ শুনে হাত কামড়াচ্ছে পুজো কমিটিগুলি৷ কিন্তু এখনও আর কিছুই করার উপায় নেই৷ অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে৷ রেকর্ড ভোটে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২০২৪-এর লোকসভায় মোদী বিরোধী লড়াইয়ে যিনি প্রধান মুখে হিসাবে উঠে আসছেন, যিনি রোমে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে ডাক পাচ্ছেন, তাঁকে কিনা এককাপ চাও দিল না কোনও পুজো কমিটি৷ মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এই অভিযোগ শুনে পুজো কমিটিগুলির আচরণে হতবাক রাজ্যের মানুষ৷
আরও পড়ুন- দেশের ১৩টি হাইকোর্ট পেল নয়া প্রধান বিচারপতি, কলকাতায় কে?
মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু কাউকে নিরাশ করেননি৷ ঝড়ের গতিতে একের পর এক পুজো উদ্বোধন করে গিয়েছেন৷ এর মধ্যে বেশ কিছু পুজো ছিল নেতা-মন্ত্রীদেরও৷ পুজো উদ্যোক্তাদেরও উচিত ছিল মুখ্যমন্ত্রীকে সেই ভাবেই সমাদর করা৷ মুখ্যমন্ত্রী মুখ খোলায় এখন বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন তাঁরা৷ যদিও মমতা বলেন, ‘ঘুরতে ঘুরতে আমার গলা শুকিয়ে গিয়েছে। অন্তত ১০০টি প্যান্ডেলে ঘুরেছি৷ কাল অনেকেই চা দিতে চেয়েছিল। একটা জায়গায় চা খেয়েছিলাম। পরশু আমাকে কেউ চা দেয়নি। তবে ওদেরও দোষ নেই। আমি খুব অল্প সময় দিতে পেরেছি৷ আজকে তোমরা চা দিয়েছো। আমি খুশি৷ তাছাড়া এটা তো আমার নিজের পাড়া। পাড়ার মেয়ে হিসেবে চেয়েই খাচ্ছি।’’