চালের বাজারে আগুন, খাবে কি? মাথায় হাত মধ্যবিত্তের

চালের বাজারে আগুন, খাবে কি? মাথায় হাত মধ্যবিত্তের

কলকাতা: নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি চালের দামেও আগুন৷ মিনিকেট থেকে গোবিন্দভোগ, গত এক মাসে দাম বেড়েছে বিভিন্ন চালের৷ বাজারে চাল কিনতে গিয়ে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের৷ আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে দাম কমার সম্ভাবনাও দেখছেন না বিক্রেতারা৷ 

আরও পড়ুন- দাপট কমছে শীতের, ফের সঙ্গী হতে পারে ছাতা!

বেশ কিছু দিন ধরেই অগ্নিমূল্য সবজির বাজার৷ এবার কি ভাতটুকুও শান্তিতে খেতে পারবে না মধ্যবিত্ত মানুষ? বিক্রেতারা বলছেন, গত এক মাসে প্রায় সব ধরনের চালের দামই অনেকটা বেড়ে গিয়েছে৷ বৃহস্পতিবার চালের খুচরো বাজারে চালের দর দেখলে বোঝা যাবে, গত এক মাসে প্রায় সব ধরনের চালের চামই বৃদ্ধ পেয়েছে৷ 

এক মাস আগে মিনিকেট চালের দাম ছিল ৩৪-৩৫ টাকা কেজি, বর্তমানে তা বিকোচ্ছে ৪৫ টাকা কেজিতে৷ বাঁশকাঠি চালের দাম ছিল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজি, তা বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা কেজি৷ দুধের সর চাল বিক্রি হচ্ছিল ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে৷ এখন তা বেড়ে হয়েছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি৷ বাসমতি চালের দর ছিল ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা কেজি৷ বর্তমানে তার দাম ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা কেজি৷ গোবিন্দভোগ চালের দাম ছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি৷ এখন তার দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা৷ একলাফে চালের দাম এতটা বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের মাথায় হাত৷ 

বাংলাদেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে রফতানি ও মিনিকেট চালের চাহিদা অনেকটা বেড়ে যাওয়াই মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিক্রেতারা৷ তাঁরা জানালেন, মিনিকেট-বাসমতি চালের দাম ৪-৫ টাকা বেড়েছে৷ ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা দাম বেড়েছে ৩০-৩২ টাকার মোটা চালের দামও৷ 

এক মিল মানিকের কথায়, সর্বস্তরের মানুষ এখন মিনিকেট চাল খাচ্ছেন৷ চাহিদা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে মিনিকেট চাল রফতানিও করা হয়েছে৷ সেই কারণেই চালের দাম বেড়েছে৷ চাল যখন উঠেছিল, সেই সময় ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায় এক বস্তা চাল বেচে দেওয়া হয়েছে৷ এখন এক বস্তা মিনিকেটের দাম ১৫০০ থেকে ১৫৫০ হয়ে গিয়েছে৷  আগামী দিন দাম যে কমবে সেই ভরসা দিতে পারছে না কেউই৷    
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 15 =