কলকাতা: রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যাননের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠল। নির্বাচন পিছনো নিয়ে নির্দেশ মানেনি রাজ্য কমিশন, সেই প্রেক্ষিতেই আদালত অবমাননার অভিযোগ তোলা হয়েছে। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে চার পুরসভার নির্বাচন চার থেকে ছয় সপ্তাহ পিছনোর পরামর্শ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সেই পরামর্শ মানা হয়নি বলেই দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- মৃত মেয়ের দেহ আগলে বৃদ্ধা মা, এলাকায় চাঞ্চল্য
মামলাকারীর পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছে, আদালত কমিশনকে পরামর্শ দেয়, কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পুরভোট চার থেকে ছয় সপ্তাহ পিছনো যায় কি না, তা বিবেচনা করতে হবে কমিশনকে। কিন্তু কমিশন সেই নির্দেশ না মেনে ভোট তিন সপ্তাহ পিছিয়েছে। এতেই আদালতের নির্দেশের অবমাননা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। আবার এই বিষয় সিদ্ধান্ত নিতে কমিশনকে সাত দিনের সময় দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও কমিশনের উত্তর আসেনি। পাশাপাশি কেন কলকাতা হাইকোর্টের পরামর্শ মত ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পর নির্বাচন হল না, তাই নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
২২ জানুয়ারি ভোট হওয়ার কথা ছিল বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল এবং চন্দননগর পুরসভার। রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট দিনে ভোট করাতে অনড় ছিল। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে এবং ভোট পিছনো যায় কিনা সেই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে বলে। তারপরেই তিন সপ্তাহ পিছিয়ে যায় পুরভোট কমিশনের ঘোষণায়। আদালতে একটি প্রশ্ন উঠেছিল যে, নির্বাচন পিছনোর ক্ষমতা কার হাতে? রাজ্য সরকার না রাজ্য নির্বাচন কমিশনের৷ রাজ্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছিল, ভোট ঘোষণা হয়ে গেল ভোট পিছোনের ক্ষমতা থাকে একমাত্র কমিশনের হাতে৷ আবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ভোট করানো সম্ভব নয় বলে রাজ্য ঘোষণা করলে একমাত্র সে ক্ষেত্রেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে ক্ষমতা থাকে৷