হাওড়া: প্রায় কয়েকদিন ধরে মেয়ের মৃতদেহ আগলে পড়ে রইলেন মা। রবিবার সকালে এই খবর জানাজানি হতে চাঞ্চল্য ছড়ায় হাওড়ার শিবপুর থানা এলাকার মল্লিকপাড়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃদ্ধা দীপালি মল্লিক, বয়স ৭০, তাঁর মেয়ে শ্যামলী মল্লিক বয়স ৪৫ বছর, নিয়ে বাড়িতে একাই থাকতেন। মাস দুয়েক ধরে তাঁরা দু’জনেই অসুস্থ ছিলেন। হাঁটাচলার ক্ষমতা ছিল না। বাড়ির লাগোয়া আত্মীয় স্বজনরা রয়েছেন। কিন্তু কেউই তাঁদের দেখাশোনা করা তো দূরের কথা খোঁজখবরই নেয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের এক আত্মীয় সপ্তাহে একদিন আসতেন। এদের খাদ্যসামগ্রী দিয়ে যেতেন। কয়েকদিন আগে তিনি শেষবার এসেছিলেন।
রবিবারও মল্লিক পরিবারের ওই আত্মীয় বাড়িতে এসেছিলেন৷ তিনি এসে দেখেন ঘরের মধ্যে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে। ঘরে ঢুকে দেখেন শ্যামলীদেবীর পচাগলা দেহ পড়ে রয়েছে। তার পাশে দীপালিদেবী বসে রয়েছেন। খবর পেয়ে শিবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। দীপালিদেবী জানান, তাঁদের কেউ দেখাশোনা করত না। তার স্বামী একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। বছর তিনেক আগে তিনি মারা যান।
মৃতার আত্মীয় জানান, তিনি মাঝেমধ্যে এসে খাবার দিয়ে যেতেন। কিন্তু অসুস্থ দু’জনকে কেন চিকিৎসা করানো হল না এর কোনও সদুত্তর মেলেনি। তবে এনিয়ে গাফিলতির প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে যেভাবে মেয়ের দেহ আগলে রইলেন মা, তাতে বৃদ্ধার মানসিক ভারসাম্য নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার মানসিক চিকিৎসা করানো হবে৷ বিষয়টি সামনে আসতে এদিন এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷