পিছোচ্ছে না পুরভোট! বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারির সম্ভাবনা

পিছোচ্ছে না পুরভোট! বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারির সম্ভাবনা

কলকাতা: আগামী মাসেই ১০৮ টি পুরসভার নির্বাচন হতে চলেছে বলে রাজ্য নির্বাচন সূত্রে খবর। ভোটের দিনক্ষণ পিছোচ্ছে না বলেই স্পষ্ট করা হয়েছে। অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারি এই পুরভোট হতে চলেছে এমনটাই খবর। এই নিয়ে আগামী ৩ তারিখ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারে কমিশন বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। রাজ্য বিজেপি এই ভোট পিছতে আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন- মৃত মেয়ের দেহ আগলে বৃদ্ধা মা, এলাকায় চাঞ্চল্য

বিজেপির তরফ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে, রাজ্যের একাধিক জেলায় করোনা পরিস্থিতি এখনও ঠিক নেই। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তাই পুরভোট যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তা হচ্ছে না বলেই স্পষ্ট করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আজ নির্বাচন কমিশনের দফতরে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল গিয়েছিল এবং তারা স্মারকলিপি জমা দেয়। তাদের দাবি ছিল ২৭ ফেব্রুয়ারির ভোট পিছনো হোক অন্তত এক মাস। এছাড়াও ১২ ফেব্রুয়ারি যে ভোট রয়েছে তার যে গণনা ১৪ ফেব্রুয়ারি তাও পিছিয়ে দেওয়া হোক। যতদিন না পর্যন্ত সব পুরসভার ভোট হচ্ছে ততদিন যেন গণনা না হয়। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিজেপির এই আর্জি গুরুত্ব দেয়নি এবং খারিজ করে দিয়েছে। ভোট পিছনোর কোনও সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারি ভোট হওয়ার কথা ছিল বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল এবং চন্দননগর পুরসভার। রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট দিনে ভোট করাতে অনড় ছিল। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে এবং ভোট পিছনো যায় কিনা সেই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে বলে। তারপরেই তিন সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে। তবে ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮ পুরসভার ভোট পিছবে না বলেই মোটামুটি নিশ্চিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 8 =

রাজ্য পুলিশ দিয়েই পুরভোট, জমায়েতে ২০০ জনের ভাবনা কমিশনের

রাজ্য পুলিশ দিয়েই পুরভোট, জমায়েতে ২০০ জনের ভাবনা কমিশনের

কলকাতা: রাজ্য পুলিশের তত্ত্বাবধানেই আগামী ২২ জানুয়ারি চার পুরসভার ভোট গ্রহণ হবে। ভোট প্রক্রিয়ার ওপর নজরদারির জন্য ১০০ শতাংশ বুথেই সিসিটিভি থাকবে। প্রতি বুথেই সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী থাকবে। আজ পুরভোটের প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের মধ্যে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।

ওই বৈঠকে এবং পরে ভোটে নিযুক্ত পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আরেক দফা বৈঠকে আসন্ন নির্বাচনে করোনা বিধি কঠোরভাবে পালন করতে কমিশনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত যে কেউ করোনা বিধি না মানলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কমিশনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কমিশন নিযুক্ত ১২ জন পর্যবেক্ষকের মধ্যে পাঁচ জনই করোনা আক্রান্ত বলে কমিশন সূত্রে খবর। এমতাবস্থায়, পুরভোটের কারণে করোনা সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ একগুচ্ছ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভোটগ্রহণের ৫ দিন আগে থেকে অর্থাৎ ১৭ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পুরো এলাকা গুলির বুথে টিকাকরণের কাজ চলবে বলে কমিশন সূত্রে খবর। প্রচার সবার ক্ষেত্রে জমায়াতের উর্ধ্বসীমা ৫০০ জন থেকে কমিয়ে ২০০ জন করার ব্যাপারেও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য আগামী ২২ জানুয়ারি আসানসোল, চন্দননগর, শিলিগুড়ি, বিধাননগর, এই চার পুরসভাতে ভোট হবে।

তবে চারটি পুরনিগমে নির্বাচনের দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে উচ্চ আদালতে৷ বুধবার এই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন সমাজকর্মী বিমল ভট্টাচার্য৷ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা পুরভোটের সময় পরিস্থিতি এতটা উদ্বেগজনক ছিল না। কিন্তু চার পুরনিগমের নির্বাচনের ঠিক আগে মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে করোনাভাইরাস৷ ফলে আগামী ২২ জানুয়ারি চার পুরনিগমের ভোট হলে সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বাড়বে৷ কমিশন ২২ জানুয়ারি ভোট দিনক্ষণ চূড়ান্ত করলেও জনস্বার্থ মামলার ধাক্কায় শেষ পর্যন্ত ভোট হয় কিনা, তা নিয়ে সংশয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 3 =