সপ্তাহে সাত দিনই এই সুবিধা দিচ্ছে মেট্রো, হল বড় ঘোষণা

সপ্তাহে সাত দিনই এই সুবিধা দিচ্ছে মেট্রো, হল বড় ঘোষণা

9e629b6191b0dc3c4e0c203f29229db0

কলকাতা: রাজ্যের বিধিনিষেধে কিছুটা শিথিলতা দিয়েছে রাজ্য সরকার। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ঘোষণা করেছিলেন যে রাত্রীকালীন কার্ফু শিথিল করে রাত ১১ টা থেকে করা হয়েছে।  অর্থাৎ এখন থেকে রাত ১০ টার পরিবর্তে ১১ টা থেকে কার্ফু শুরু হবে, যা চলবে ভোর ৫ টা পর্যন্ত। এই ঘোষণার পরেই বড় সিদ্ধান্ত নিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। জানিয়ে দেওয়া হল এবার থেকে রাতে আরও আধ ঘণ্টা বেশি চলবে মেট্রো রেল। বুধবার থেকে শুরু হবে বর্ধিত সময়ের ট্রেন চলাচল এবং সপ্তাহের সাত দিনই চলবে একই সময়ে।

আরও পড়ুন- বিয়ের ছ’মাসের মধ্যেই কোভিড কেড়ে নেয় স্বামীকে, চিকিৎসার ৪০ লক্ষ টাকা দান তরুণীর!

এক বিবৃতি প্রকাশ করে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোম থেকে শনি ছ’দিন সকাল ৭তেই ট্রেন শুরু হবে যেমন হচ্ছে। আবার নিয়ম মতো রবিবার ট্রেন চালু হওয়ার সময় সকাল ১০টাই থাকছে। তবে সপ্তাহে সাতদিনই শেষ ট্রেনের সময় আরও বাড়ছে। এখন থেকে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষগামী শেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৯টা ১৮ মিনিটে। দমদম থেকে কবি সুভাষের শেষ ট্রেনের সময় রাত ৯টার পরিবর্তে হবে ৯টা ৩০ মিনিট। একই ভাবে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার শেষ ট্রেনে ছাড়ার সময়ও রাত ৯টার পরিবর্তে হবে ৯টা ৩০ মিনিট হবে। এদিকে গতকালই মেট্রো কর্তৃপক্ষ টোকেন নিয়েও বড় ঘোষণা করেছিল, তা স্বস্তি দেবে নিত্য যাত্রীদের।

জানান হয়েছে, যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে মেট্রো রেলে আগামীকাল থেকে আবার টোকেন ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে। ইস্ট-ওয়েস্ট এবং নর্থ-সাউথ করিডোরের সব স্টেশনে টিকিট কাউন্টার থেকে এই টোকেন পাওয়া যাবে। সব টোকেন স্যানিটাইজ করেই যাত্রীদের হাতে দেওয়া হবে। সেই কারণে জনবহুল স্টেশনগুলোতে স্যানিটাইজার মেশিন বসানো হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই যখন আবার মেট্রো চালু হয়েছিল প্রথমবার, তখন থেকেই বন্ধ এই টোকেন। সেই কারণে সাধারণ মানুষের একটা বৃহৎ অংশ মেট্রো পরিষেবা উপভোগ করতে পারছে না। বিশেষ করে বয়স্করা। সে কারণেই মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে টোকেন পরিষেবা চালু করার অনুরোধ জানিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু মেট্রো কর্তৃপক্ষ তখন কোনও রকম সিদ্ধান্ত নেয়নি। কিন্তু এখন জানান হল যে, যাত্রীদের সুবিধার জন্যই আবার এই পরিষেবা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *