‘ভাষা-মোদের ভালবাসা..’ ভাষা দিবসে শুভেচ্ছা মুখ্যন্ত্রীর, জেনে নিন ২১ ফেব্রুয়ারির ইতিহাস

‘ভাষা-মোদের ভালবাসা..’ ভাষা দিবসে শুভেচ্ছা মুখ্যন্ত্রীর, জেনে নিন ২১ ফেব্রুয়ারির ইতিহাস

d04a457f6dd73f873c17c0e7623cd7d5

কলকাতা:  ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি৷’ আজ আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস৷ ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি লেখা হয়েছিল এক রক্তক্ষয়ী অধ্যায়৷ আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর পুলিশের চালানো নির্মম গুলির ক্ষত আজও টাটকা। আজ রাজ্য জুড়ে পালিত হচ্ছে ভাষা দিবস৷ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

আরও পড়ুন- তিনতলা থেকে আনিস কি নিজেই পড়ে যান, নাকি ধাক্কা? উত্তর মিলবে কি ময়নাতদন্তে?

 
এদিন টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা। মাতৃভাষার জন্য যাঁরা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন  সেই সমস্ত বীর শহিদদের স্যালুট। ভারতে আজ ভাষার এই বহুত্ববাদকে উদ্যা্পনের প্রয়োজন। আমরা সব ভাষাকে ভালবাসি, আমরা আমাদের মাতৃভাষাকে ভালবাসি।’’ শেষে লিখেছেন, ‘‘ভাষা-মোদের ভালবাসা। সবাইকে নিয়ে বাঁচার আশা৷’’ 

প্রথমে এই দিনটি দুই বাংলায় পালিত হলেও পরবর্তী সময় রাষ্ট্রসংঘ জানায়, একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হবে৷ উর্দুর বদলে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম হয়েছিল পূর্ববঙ্গে৷ যা আজও শিহরণ জাগায়। বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও সাড়ম্বরে পালিত হয় ভাষা দিবস৷ শান্তিনিকেতনে অবস্থিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাস, ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হচ্ছে৷

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এই দিনটি পালিত হয় শহিদ দিবস হিসাবে৷ ভারতীয় উপমহাদেশ তখন সদ্য স্বাধীন হয়েছে। ধর্মের ভিত্তিতে দ্বিখণ্ডিত ভারত-পাকিস্তান৷ কিন্তু  পাকিস্তান গঠিত হয় দুটি পৃথক ভূখণ্ড নিয়ে৷ একটি পূর্ব পাকিস্তান আরেকটি পশ্চিম পাকিস্তান৷ পশ্চিম পাকিস্তানে উর্দু প্রধান ভাষা হলেও পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা ছিল বাংলা। ক্ষমতাসীন পাকিস্তান সরকার উর্দুকেই স্বীকৃতি দেয় এবং তা পূর্ব পাকিস্তানের উপরেও আরোপ করা হয়৷ এদিকে বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দিতে পূর্ব পাকিস্তানের মাটিতে শুরু হয় ভাষা আন্দোলন। ১৯৫২ সালে আজকের দিনে আন্দোলনরত ছাত্র ও সমাজ কর্মীদের উপর নির্মম ভাবে গুলিবর্ষণ করে পুলিশ৷ মৃত্যু হয় বহু তরুণের৷ এই দিনটিই পালিত হয় ভাষা শহিদ দিবস৷ এর পর মুক্তিযোদ্ধাদের অক্লান্ত লড়াই ও আত্মত্যাগে  স্বাধীন হয় বাংলাদেশ৷ যে দেশের বুনিয়াদ ছিল বাংলা ভাষা।