কলকাতা: আমতার ছাত্র নেতা আনিস খানের খুনের ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠেছে রাজ্য পুলিশ। প্রথম থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দাবি করা হয়েছে পুলিশই আনিসকে খুন করেছে। প্রাথমিকভাবে আমতা থানা জানিয়েছিল যে ঘটনার রাতে তারা আনিসের বাড়িতে কোনও পুলিশ পাঠায়নি। তবে সিট মামলার তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর আমতা থানার তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে। এতেই বড় জল্পনা। পুলিশ কোনও ভাবে এই ঘটনায় জড়িত বলে মনে করছে অনেকেই। সেই প্রেক্ষিতেই হয়তো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
আরও পড়ুন- ‘রবীন্দ্রনাথের নাম থাকলে তাঁর নামেও ভোট পড়ত’, ছাপ্পা নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা সুকান্তের
জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার আরও একবার রাজ্য পুলিশের সব স্তরের পদমর্যাদার পুলিশকর্মীদের ‘আর্ম ব্যাজ’ পরা বাধ্যতামূলক করেছে। রাজ্য পুলিশের ডিজির তরফে জারি করা এক নির্দেশিকায় সবাইকে আবশ্যিক ভাবে পুলিশের লোগো, ন্যাশনাল এমব্লেম এবং সত্যমেব জয়তে লেখা ব্যাজ ব্যবহার করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। এই নির্দেশিকা ইতিমধ্যেই সব জেলার পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। আনিস খানের ঘটনার পর যেভাবে পুলিশের ওপর মানুষের ক্ষোভ এবং সন্দেহের পরিবেশ তৈরি হয়েছে তাতেই তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত বলেই মত। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে আমতার তিন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এএসআই নির্মল দাস, কনস্টেবল জিতেন্দ্র হেমব্রম, হোমগার্ড কাশীনাথ বেরাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল। এমনকি পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না বলেও দাবি করেছে আনিসের পরিবার।
অন্যদিকে আবার জানা গিয়েছে, আনিসের দাদা এতটাই আতঙ্কিত যে সিট অফিসারদের অনুরোধ করেছেন যাতে তারা সন্ধ্যের পর বাড়িতে তদন্ত করতে না আসেন। আনিস খুনের দিন এই ভাবেই রাতে ‘পুলিশ’ এসেছিল বলে অভিযোগ। তাই আর কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চায় না আনিসের পরিবার। ইতিমধ্যে তাদের আবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা। সিবিআই তদন্ত চাওয়ার কারণেই তাদের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ।