নদীয়া: ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা নদীয়া জুড়ে। সিপিআইএম এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে ইট বৃষ্টি। বন্ধ করে রাখা হয়েছে প্রবেশ পথ। নদীয়ার শান্তিপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৭২ থেকে ৭৭ নম্বর বুথে রণক্ষত্রের চেহারা সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন- পুলিশের সামনেই লাইন, ভোটার কার্ড ছাড়াই দু’বার ভোট
সিপিআইএম সমর্থকদের অভিযোগ, বহিরাগতদের এনে রাজ্যের শাসক দলের দুষ্কৃতীরা ভোট লুট করার চেষ্টা করছিল। তার প্রতিবাদ করায় তাদের কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল সমর্থিত দুষ্কৃতীরা। এরপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুরু হয় দু’পক্ষের ইট বৃষ্টি। ঘটনার জেরে কার্যত বন্ধ হয়ে যায় বুথের প্রবেশ পথ। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে সিপিআইএম আর বিজেপি, দুই পক্ষ জড়িত। তৃণমূলের এই ঘটনার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। ইতিমধ্যেই ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছেছে। যদিও গোটা ঘটনার কারণে উত্তপ্ত হয়ে আছে গোটা এলাকা।
সোনারপুর থেকে শুরু করে দমদম, ব্যারাকপুর, খড়গপুর থেকে জলপাইগুড়ি, বারাসত, সব জায়গায় সকাল থেকেই ভোট ঘিরে উত্তেজনা বহাল। কোথাও ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ, আবার কোথাও প্রার্থীর সঙ্গেই বচসার ঘটনা, ১০৮ পুরসভার নির্বাচনে আজ বিরাট উত্তাপ। তবে এসবের মধ্যেও সাধারণ মানুষ নিজেদের মতো করে ভোট দিচ্ছেন। ভোট কেন্দ্রে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বরাবার প্রশ্ন তুলেছে শাসক থেকে বিরোধী সব শিবির। অর্থাৎ এক কথায়, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কেউই সন্তুষ্ট নয়। অন্যদিকে, ভোট লুঠ থেকে শুরু করে ছাপ্পা দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। এমনকি বহিরাগতরা এসে ভোট দেওয়াচ্ছে, এলাকার বাসিন্দাদের ভোট দিতে দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ।