আল কায়দার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়েছিল মার্কিন সেনা, আফগান গড়তে নয়, বিবৃতি বাইডেনের

আল কায়দার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়েছিল মার্কিন সেনা, আফগান গড়তে নয়, বিবৃতি বাইডেনের

ওয়াশিংটন:  আফগানিস্তানে তালিবানি রাজত্ব শুরু হতেই আঙুল উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দিকে। তাঁর ভূমিকা নিয়ে শুধু প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রশ্ন তোলেননি, দুষেছে আমেরিকার জনগণের একটা বড় অংশ। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন বাইডেন৷ সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি বললেন, ‘‘এর জন্য আমি অনুতপ্ত নই৷ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মার্কিন সেনাবাহিনী আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধ সামলানোর জন্য পড়ে থাকতে পারে না৷’’

আরও পড়ুন- প্রাণ বাঁচাতে এক কাপড়ে দেশ ছাড়ার মরিয়া চেষ্টা, কাবুলে পদপৃষ্ঠ অসহায় জনতা

বাইডেনের কথায়, ২০ বছর আগে যাঁদের বাবারা আফগানিস্তানে লড়াই করেছে, আজ তাঁদের সন্তানরা লড়াই করছে৷ আপনারা কি আপনাদের সন্তানদের আফগানিস্তানে পাঠাতে চান? সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতির জন্য আফগান সৈনিক ও রাজনৈতিক শক্তির ব্যর্থতাই দায়ী৷ সেই সঙ্গে তিনি এটাও স্বীকার করে নিয়েছেন যে, এত দ্রুত পরিস্থিতির বদল ঘটবে তা ভাবা যায়নি৷ আশরফ গনি তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই করার আশ্বাস দিলেও তিনি তা পালন করেননি৷ বরং বিনা দ্বন্দ্বে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন৷ এই সঙ্কটের মধ্যে আফগান নাগরিকদের পাশে থাকার বার্তা দিলেও সেনা প্রসঙ্গে নিজের অবস্থাতেই অনড় থেকেছেন তিনি৷ 

এদিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, অতীতেও আমেরিকা অনেক ভুল করেছে৷ সেই ভুল সংশোধনের সময় এসেছে৷ এর জন্য সমালোচিত হতে হলেও ক্ষতি নেই৷ পরবর্তী প্রেসিডেন্টকে যেন সেই দায়ভার নিতে না হয়৷ কারণ তিনি মনে করেন, আফগানিস্তানে আল-কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়েছিল মার্কিন সেনা৷ আফগানিস্তানকে গড়ার জন্য নয়৷ প্রয়োজনে ভবিষ্যতেও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে যে আমেরিকা পিছিয়ে আসবে না, সে কথাও অবশ্য উল্লেখ করেছেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর! ১৫ উর্ধ্ব মেয়ে আর ৪৫ এর নীচে বিধবাদের তালিকা চাইল তালিবান

প্রসঙ্গত, এর আগে দোহার বৈঠকে তালিবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসেছিল ট্রাম্প প্রশাসন৷ আফগানিস্তানের বর্তমান অবস্থার জন্য বাইডেন সরকারের উপরেই দোষারোপ করেছেন তিনি৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 3 =