কলকাতা: গরু পাচার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷ রক্ষাকবচ চেয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু সেই মামলার শুনানিতে আজ কোনও সিদ্ধান্ত হল না। মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখল প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন- আস্থা রাজ্য পুলিশে, এক মাসের মধ্যে আনিস হত্যা মামলার তদন্ত শেষের নির্দেশ হাই কোর্টের
এদিন আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন এডভোকেট জেনারেল বিবেক তানখা বলেন, বিভিন্ন সময় নোটিস পাঠানো হয়েছে। কারণ দেখিয়ে তার জবাবও দেওয়া হয়েছে। হাজিরার জায়গা পরিবর্তন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ের কারণ দেখিয়ে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও দাবি করেন, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার নোটিসে কোনও কিছু করতে পারেনি সিবিআই। তাই দ্বিতীয় নোটিস দিয়েছে। এবার আরও একটি অভিযোগ এনে নতুন নোটিস। এই ভাবেই সিবিআই নিজেদের ক্ষমতার ব্যবহার করছে। এই প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন তোলা হয়, এটা কি তদন্ত না বিরক্ত করা? অনুব্রত মণ্ডল তো সাক্ষী, মুল অভিযুক্ত নয়। তাহলে তিনি যখন ২০০ কিমি দূরে না করে কাছাকাছি হাজিরার জায়গা নির্ধারণ করতে বলছেন, সেখানে সিবিআইয়ের অনীহা কেন?
অনুব্রতর আইনজীবী আরও বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি পুনরায় নোটিস দিয়েছে সিবিআই। তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি তার উত্তরও দিয়েছেন। এই ভাবেই একটার পর একটা কেস দিয়ে তাঁকে বিরক্ত করা হচ্ছে এবং নোটিস দিচ্ছে যার কোনও যৌক্তিকতা নেই। এদিকে সিবিআইয়ের তরফ থেকে জানান হয়েছে, আবেদনকারীর যদি কোনও ভয় থাকে উনি আগাম জামিনের আবেদন জানাতে পারতেন। এই রক্ষা কবচের আবেদন কখনোই গ্রহণ যোগ্য হতে পারে না। বারবার তিনি বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন। তিনি স্বাস্থ্যের কথা বলছেন। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জনসভা করেছেন। তাঁর ছবি ও নথি আদালতে জমা করা হয়েছে। দেখা যাবে, মাস্কের ব্যবহার উনি করেননি। আর বলছেন অসুস্থ! তিনি কলকাতার দলীয় সভায়ও যোগ দিয়েছেন। তাই তিনি স্বাস্থ্য আর করোনার যে যুক্তি দিচ্ছেন সেটা সঠিক নয়।