কলকাতা: হাওড়ার ছাত্রনেতা আনিস খানের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ইতিমধ্যেই চলে এসেছে৷ এক মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে আনিসের মৃত্যুর তদন্ত৷ এই ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটকে এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট৷ সেই সঙ্গে আনিস খানের রহস্যমৃত্যুতে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম-এর তদন্তকে কোনওরকম প্রভাবিত করা যাবে না বলে মন্তব্য বিচারপতি রাজ শেখর মান্থার৷
আরও পড়ুন- শিয়রে সংকট, গরু পাচার কাণ্ডে CBI হাজিরা এড়িয়ে এবার ডিভিশন বেঞ্চে অনুব্রত
এদিন আদালত জানায়, রাজ্য পুলিশই আনিস হত্যা-কাণ্ডের তদন্ক করবে৷ তবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ছাড়া তদন্তের সময়সীমা বাড়ানো হবে না। ১৮ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যে ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে৷ এদিন মামলার শুনানির সময় আদালতের তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ, ‘রাজ্যের পুলিশ পৃথিবীর কারও থেকে কম নয়, কেউ যেন তাদের বাধা না দেয়। নিজেদের প্রমাণ করার এটাই সময়।’
অন্যদিকে, আদালতের সামনে আনিস খানের পরিবারের দাবি, সিটের তদন্তে নতুন কোনও অগ্রগতি নেই৷ স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং কোনওভাবে প্রভাবিত না হয়ে তদন্ত করতে হবে বলে পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজ শেখর মান্থার৷ আদালতের নির্দেশেই কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বার আনিস খানের দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়না তদন্তের পর ভিসেরার নমুনা সংরক্ষণ করার কথা আগেই জানিয়েছিল আদালত৷ আর সেটা করতে হবে কোনও জেলা জজের উপস্থিতিতে। একইসঙ্গে জেলা জজের তত্ত্বাবধানে আনিসের মোবাইল ফোন সিএফএসএল-কে পাঠাতে হবে।
এদিকে, দিন কয়েক আগেই আনিস মামলায় ২০ পাতার রিপোর্ট পেশ করেছিল সিট৷ তার প্রেক্ষিতেই বিচারপতি জানতে চান, আমতা থানার ওসিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কিনা৷ কারণ নিহত আনিস খানের পরিবারের অভিযোগ, তাঁরা এখনও আইনি নথি পাননি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>