ব্রেকিং: তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের ৭ দিনের মাথায় পিটিয়ে খুন পানিহাটিতে

ব্রেকিং: তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের ৭ দিনের মাথায় পিটিয়ে খুন পানিহাটিতে

কলকাতা: তৃণমূল কাউন্সিলর খুনের সাত দিনের মাথায় ফের খুনের ঘটনা পানিহাটিতে৷ পানিহাটির ৭ নম্বর ওয়ার্ডে পিটিয়ে খুন করা হল মহম্মদ আরমান নামে এক ব্যক্তিকে৷  এক সপ্তাহ আগে গত রবিবার খুন হয়েছিলেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত৷ সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই ঠিক পাশের ওয়ার্ডে ফের খুন৷ 

আরও পড়ুন- ৫০ লক্ষ ভুয়ো কার্ড লক! কত রেশন পাবেন জানানো হবে SMS-এ

শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ পানিহাটি পুরসভার অন্তর্গত আগরপাড়ার নয়াবস্তি এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে খরদা থানার পুলিশ৷ ওই যুবককে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান৷ তবে তাঁর শরীরে ভোজালির ক্ষতও রয়েছে৷ ফলে কুপিয়ে খুন করা হতে পারে বলেও মনে করছে পুলিশ৷ পরিবার সূত্রে খবর, মাত্র ১৫ দিন আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিল সে৷ 

গত রবিবার ভর সন্ধ্যায় আগরপাড়া নর্থ স্টেশন রোডে প্রকাশ্য বাজারে পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্যজয়ী তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা৷ এই ঘটনার ঠিক ৭ দিনের মাথায় আগরপাড়ার নয়াবস্তি এলাকায় পিটিয়ে খুন করা হল বছর ৪০-এর মহম্মদ আরমানকে৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খরদা থানার পুলিশ৷ কে বা কারা তাঁকে খুন করল, কেনই বা খুন করা হল, সে বিষয়ে এখনও পুলিশ অন্ধকারে৷ এ বিষয়ে মুখে কুলুপ প্রত্যক্ষদর্শীদের৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ হামলার কারণ জানার চেষ্টা করছে। কত জনই বা খুন করতে এসেছিল, তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ 

জনপ্রতিনিধি তথা জনপ্রিয় নেতা খুনের এক সপ্তাহের মধ্যে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে অথবা কুপিয় খুনের ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কে পানিহাটির মানুষ। এ প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা৷ বাংলার সমাজ জীবন বড় সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে চলেছে৷ আমি ঝালদা থেকে ফিরছি৷ এক সপ্তাহ আগে যেখানে কংগ্রেসের কাউন্সিলর খুন হয়েছিলেন৷ ওই গিন এক তৃণমূল কাউন্সিলরও খুন হন৷ দলমত নির্বিশেষে খুন খুনই৷’’ তাঁর কথায়, বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে বাংলা৷ এর পিছনে পুলিশের ইন্ধন রয়েছে৷ ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, মাঝে মধ্যে এমন ঘটনা না হলে পুলিশের কাজ কী? অর্থাৎ পুলিশের কাজ নেই বলে খুন বা খুনের পরিবেশ তৈরি হবে? এটা দুর্ভাগ্য৷’