কলকাতা: রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে গণহত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছিলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা যে একেবারেই ভেঙে পড়েছে তা এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট৷ রাজ্যপালের মন্তব্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁকে গতকাল চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, সাংবিধানিক পদে থেকে এই ধরণের মন্তব্য করা অসাংবিধানিক। তাঁর মন্তব্য নিরপেক্ষ তদন্তে বাধা হতে পারে। এবার সেই চিঠির পাল্টা দিলেন রাজ্যপালও। মুখ্যমন্ত্রীকে জানালেন, এমন ঘটনার পর তিনি চুপ থাকতে পারেন না।
আরও পড়ুন- সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ করার চেষ্টা, রামপুরহাটের ঘটনায় সরব পার্থ
রাজ্যপাল মমতাকে যে পাল্টা চিঠি দিয়েছেন তাতে তিনি জানিয়েছেন, এত বড় ঘটনা দেখার পর তিনি রাজভবনে চুপ করে কখনই বসে থাকতে পারেন না। তাই তাঁর মন্তব্য কোনও ভাবেই অযৌক্তিক নয়। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মন্তব্যকে মাত্রাজ্ঞানহীন, যুক্তিহীন বলে দাবিয়ে দিতে চাইছেন। তবে তিনি তাতে না দমে গিয়ে কথা বলবেন। এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা দেখার পর তিনি নীরব থাকতে পারবেন না। এর আগে রাজ্যপাল মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘রামপুরহাটের ভয়াবহ নৃশংসতায় আমি মর্মাহত ও বিব্রত। ডিজিপি’র জানিয়েছেন এই ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা যে একেবারেই ভেঙে পড়েছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি আগেও বারবার বলেছি, রাজ্যে এমন অরাজকতা আমরা মেনে নিতে পারি না। প্রশাসনকে রাজনৈতিক বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে।”
গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে চিঠি দিয়ে জানান, ”আপনি যে ধরণের মন্তব্য করেছেন তা দুর্ভাগ্যজনক। আপনার মন্তব্য নিরপেক্ষ তদন্তে বাধা হতে পারে। সাংবিধানিক পদে থেকে এই ধরণের মন্তব্য করা অসাংবিধানিক।” এই মন্তব্য করেই থেমে যাননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্য সহ দেশের অন্যান্য হিংসার ঘটনায় তিনি নীরব থাকেন। সেই ব্যাপারে কিছুই বলেন না। কিন্তু বাংলাতে কিছু হলেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলেন।