কলকাতা: ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গিয়েছে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে। তৃণমূল উপ প্রধান খুনের পর একাধিক বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অনেকের। রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই। এবার এই ইস্যুতে কড়া অবস্থান নিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করেছে তারা। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করবেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। এমনটাই জানিয়েছেন, কমিশনের চেয়ারপার্সন, বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) অরুণ মিশ্র।
আরও পড়ুন- নিজেকে নির্দোষ বলছেন আনারুল! নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা চান
বগটুই গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য আগেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করল। এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় তাদের ওপর গুরুদায়িত্ব দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার রামপুরহাট কাণ্ডে জল কোন দিকে গড়াবে সেটাই দেখার। ইতিমধ্যেই আদালতে এই মামলার শুনানিতে সিবিআই তদন্ত চাওয়া হয়েছে। বিরোধী পক্ষের আইনজীবীরা এককাট্টা হয়েছেন এই ইস্যুতে। চাপ বাড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ওপর। যদিও এই মুহূর্ত পর্যন্ত বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। আজ বগটূই গ্রামে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। সেখানেই একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিন মমতা জানান, যাঁদের বাড়িঘর পুড়ে গিয়েছে, তাঁদের সকলকে ঘর বানানোর জন্যে ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷ বৃহস্পতিবারই এই টাকা তুলে দেওয়া হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ব্যাপারে কোনও কার্পণ্য চলবে না৷ প্রয়োজনে দু’লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে আরও ৫ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি৷ এছাড়াও জখম তিন শিশুকে ৫০ হাজার টাকা করে এবং গুরুতর জখমদের এককালীন এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, আহতদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার৷