‘দিল্লির লাড্ডু খাবেন না, পাহাড়ে শীঘ্রই জিটিএ নির্বাচন’, ঘোষণা মমতার

ভোট এলেই পাহাড়ের মানুষকে ভুল বোঝানো হয়

দার্জিলিং:  পাঁচ দিনের সফরে পাহাড়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার দার্জিলিং ম্যালে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন তিনি৷ মমতা বলেন, দার্জিলিং পুরসভার ভোট হয়েছে৷ খুব শীঘ্রই দার্জিলিং-এ  জিটিএ নির্বাচনও করা হবে৷

আরও পড়ুন- আবারও বিস্ফোরণ বাংলার গ্রামে! কারণ কি মজুত বোমা

তিনি আরও জানান, দার্জিলিং জেলায় হিল ইউনিভার্সিটি এবং কার্শিয়াংয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজের ক্যাম্পাস তৈরি করা হচ্ছে৷  শিক্ষার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে পাহাড়ের এই জেলা৷  তিনি আরও বলেন, দার্জিলিংয়ে এখন পর্যটকের ভিড়৷ সমস্ত হোটেল ভর্তি৷ জুন মাস পর্যন্ত ঠাসা ভিড় থাকবে৷ এখন দার্জিলিং হাসছে, তাই পর্যটকরা আসছেন৷ ধীরে ধীরে দার্জিলিংয়ের অর্থনৈতিক উন্নতিসাধন করতে হবে৷ দার্জিলিংকে গ্রিন এবং ক্লিন করে তুলতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দার্জিলিংয়ে গত ২০ বছর পাট্টা দেওয়া হয়নি৷ সেই সমস্যার সমাধানও করে দেওয়া হয়েছে৷

বিজেপি’র বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, ভোট এলেই নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দল দার্জিলিংকে ভুল বুঝিয়ে ভোট নিয়ে চলে যায়৷ এর পর তাদের আর কোনও খোঁজ থাকে না৷ তাই দিল্লির লাড্ডু নয়, দার্জিলিং-কা লাড্ডু চাহিয়ে৷ মিরিখ, কার্শিয়াং কা লাড্ডু চাহিয়ে৷ আমরা ভোটের আগে যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সব পূরণ করেছি৷ আর দিল্লির সরকার দফায় দফায় জ্বালানির দাম বাড়াচ্ছে৷ চা বাগান বন্ধ করে দিচ্ছে৷ নিজেরাই আগুন জ্বালায়, নিজেরাই বদনাম করছে৷ হিংসার নামে বাংলার বদনাম করছে৷       

পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পের খতিয়ান তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন ২১ লক্ষ বিধবাকে পেনসন বা ভাতা দেওয়া হচ্ছে৷ লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প থেকে উপকৃত হচ্ছেন ১.৫৩ কোটি মহিলা৷ কৃষকদের ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়৷ তাঁদের ভাতাও দেওয়া হয়৷ ভাতা দেওয়া হয় প্রতিবন্ধীদের৷ ছাত্রছাত্রীরা যাতে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারে, তার জন্য স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ডে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হচ্ছে৷ এ পর্যন্ত ২১ হাজার পড়ুয়া এর সুবিধা পেয়েছে৷ সরকারই এখানে গ্যারান্টার৷ এদিকে, পাহাড়ে চা বাগানের জন্য  শুরু হয়েছে চা সুন্দরী প্রকল্প৷ এই প্রকল্পে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার পরিবারকে ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে৷ তিনি জানান, চা শ্রমিকরা আগে দৈনিক ৬৭ টাকা পেতেন৷ এখন তাঁদের দৈনিক উপার্জন ২০২ টাকা৷ আগে কোনও চা বাগান বন্ধ হলে শ্রমিকরা ৫০০ টাকা করে পেতেন৷ তাও ৬ মাস পর৷ এখন দুই মাসের মধ্যে দেড় হাজার টাকা করে পরিবার পিছু দেওয়া হয়৷ তাঁদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়া হয়৷ 

স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে মাথা পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়৷ স্কুলে মিড ডে মিল, থেকে প্রাইমারি সেকসনে বইখাতা, জুতো, ব্যাগ দেওয়া হয়৷ নবম শ্রেণিতে সাইকেল এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের মোবাইল দেওয়া হয়৷ গরিব মেয়েদের বিয়ের জন্য ২৫ হাজার৷ এমনকী শেষকৃত্যের জন্যেও ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়৷