‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ছাড়াই কিশোরীর দেহ দাহ! হাঁসখালির ঘটনা প্রশ্ন তুলল

‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ছাড়াই কিশোরীর দেহ দাহ! হাঁসখালির ঘটনা প্রশ্ন তুলল

কলকাতা: হাঁসখালিতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলের বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের জেরে তীব্র রক্তপাত হয় নাবালিকার৷ তারই জেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ওই নাবালিকা৷ এরপরই অভিযোগ তোলা হয়, প্রমাণ লোপাটের জন্য পরিবারকে হুমকি দেখিয়ে নাবালিকার শব দাহ করে ফেলা হয়েছে। মৃত্যুর পরে বৈধ শংসাপত্র বা ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ছাড়াই এই কাজ কী ভাবে সম্ভব হল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: নাবালিকাকে ধর্ষণ তৃণমূল নেতার ছেলের! রাতভর রক্তক্ষরণে মৃত্যু! শ্মশানে গিয়ে তথ্য লোপাটের চেষ্টা

হাঁসখালির এই ঘটনায় এখন রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে বাংলায়। অনেকেই উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনার সঙ্গে এর তুলনা টেনে আক্রমণ করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। যেহেতু এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে, তাই স্বাভাবিকভাবেই বড় অস্বস্তিতে শাসক শিবির। তবে বড় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে মৃতদেহ দাহ করা নিয়ে। কী ভাবে মৃত্যুর পরে বৈধ শংসাপত্র ছাড়াই নাবালিকার দেহ দাহ করা হল তা বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এটা স্পষ্ট যে, ডাক্তারের দেওয়া ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ছাড়া যদি মৃতদেহ সৎকার হয়ে থাকে, তাহলে তার দায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের। এক্ষেত্রে দোষের ভাগীদার তাদেরই হতে হবে। কারণ ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ছাড়া মৃতদেহ সৎকার না হলে বিষয়টি দ্রুত ধামাচাপা দেওয়া যেত না।

এও জানা গিয়েছে, যে শ্মশানে দেহ দাহ করা হয়েছে তা প্রায় জনশূন্য থাকে। তাই কে বা কারা, কখন দেহ দাহ করে গিয়েছে তা জানা মুশকিল। শ্মশানটির কোনও সরকারি অনুমোদন বা রেজিস্ট্রেশনও নেই। তাই খাতায় নাম তোলা বা কোনও রেকর্ড থাকারও কোনও সম্ভাবনা নেই। উল্লেখ্য, গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামনগর এলাকার বাসিন্দা তথা তৃণমূলের দাপুটে পঞ্চায়েত সদস্য অশোক বিশ্বাস। ৫ এপ্রিল ওই গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েতের সদস্যর ছেলে  ব্রজর জন্মদিন ছিল। সেই কারণেই সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ পেয়ে অংশগ্রহণ করেন বছর চোদ্দোর ওই নাবালিকা। ওই রাতেই তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ভোরের দিকে ওই নাবালিকার তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয় এবং গোপনাঙ্গে রক্তপাত ঘটতে থাকে। পরিবারের লোকজন তাকে স্থানীয় একটি কোয়াক ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। এরপর সকালে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *