কলকাতা: বাংলা নববর্ষের দিনেই জঙ্গলমহল নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। মাওবাদী হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কা করে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই কোনও না কোনও হামলার ঘটনা ঘটবে বলেই অনুমান। কিন্তু রাজ্যের মন্ত্রী এই সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন। বরং তাঁর কথায়, বিজেপি অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। যিনি এই অভিযোগ আনছেন তিনি বাঁকুড়ার রানিবাঁধের তৃণমূল বিধায়ক ও খাদ্য সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি।
আরও পড়ুন- রত্নার বাড়িতে বিশাল বিক্ষোভ, বেহালার গুলিকাণ্ডে তৃণমূল যুবনেতার ওপর ‘কোপ’
রাজ্যের মন্ত্রীর কথায়, জঙ্গলমহলে মাওবাদী নেই। আতঙ্ক সৃষ্টি করে ফায়দা তুলতে চাইছে বিজেপি শিবির। তাঁর বক্তব্য, বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে রাজ্যজুড়ে। তাঁর স্পষ্ট কথা, মাওবাদী হামলা হতে পারে এই তথ্য একদম ভুল কারণ মাওবাদী এখন নেই জঙ্গলমহলের কোথাও। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই যে, মাওবাদী সতর্কতা আসার পরেই বাঁকুড়ার পাঁচ জন তৃণমূল নেতা নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করেছেন। তাদের মধ্যে আছেন রানিবাঁধ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি চিত্ত মাহাতো। তিনি পুলিশ সুপারের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন। যদিও তাঁর ব্যক্তিগত একজন নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছে। তবুও মাও আতঙ্কে ওই নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না। এখন প্রশ্ন, যদি মাওবাদী না থাকে তাহলে বাড়তি নিরাপত্তা কেন?
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা আগেই জানিয়েছেন, বড় ধরণের কোনও হামলা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই এই হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এমনকি সেখানে যাদের পোস্টিং আছে সেই সব পুলিশদের ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আর যারা ইতিমধ্যেই ছুটিতে রয়েছেন তাদের দ্রুত নিজেদের থানায় রিপোর্ট করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসলে গত ৮ এপ্রিল মাওবাদীদের ডাকা বনধে সাড়া মিলেছিল জঙ্গলমহলে। তারপরেই বিভিন্ন জায়গায় অপারেশন শুরু করে যৌথ বাহিনী। তারাই এখন জানতে পেরেছেন যে, জঙ্গলমহলে যে সমস্ত থানা, সেনা ক্যাম্প রয়েছে সেখানেই নতুন করে হামলা চালানো হতে পারে।