কলকাতা: চড়কমেলাকে কেন্দ্র করে গতকাল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেহালা পূর্ব বিধানসভার চড়কতলা এলাকা। ইট ছোড়া থেকে শুরু করে গুলি চালানোর মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ। এছাড়াও দফায় দফায় সংঘর্ষের কারণ দোকান-পাট ভাঙচুর পর্যন্ত হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে, বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গোটা ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের একদল মহিলা কর্মী। তারপর জানা গিয়েছে, সাসপেন্ড হতে হয়েছে তৃণমূলের এক যুবনেতাকে।
আরও পড়ুন- ‘ধর্ষণ করেছে তৃণমূল নেতার ভাগ্নে, ছেলে ফেঁসে গিয়েছে’ হাঁসখালি কাণ্ডে ফাঁস বিস্ফোরক অডিয়ো
ঠিক কী হয়েছিল? আসলে প্রত্যেক বছর ওই এলাকায় পয়লা বৈশাখের আগে চড়কের মেলা হয়। এবার সেই মেলাকে কেন্দ্র করেই উত্তাপ সৃষ্টি হয়। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বাদানুবাদ হয় মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। কিন্তু তখন তা মিটে গিয়েছিল। কিন্তু সেদিন রাতেই আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয় দুই গোষ্ঠী। ভাঙচুর থেকে শুরু করে গুলি চালানোর মতো ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অপ্রস্তুতে পড়েছিল শাসক দল। তবে তাদের বক্তব্য ছিল, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, দুই পাড়ার ঝামেলা হয়েছে। যদিও আজ সেখানকার বিধায়ক রত্নার বাড়িতে এসে একদম তৃণমূল মহিলা কর্মী বিক্ষোভ দেখায়। জানা গিয়েছে, তারা আর কেউ নয় অভিযুক্ত তৃণমূল যুবনেতা সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবনের পরিবারের লোকজন এবং তাঁর অনুগামীরা। পরবর্তী সময়ে তাঁকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে।
গোটা বিষয় নিয়ে বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় জানান, বাড়িতে বিক্ষোভ দেখানোর পরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে পুরো বিষয়টি বলেছেন। এখন এই বিষয়টি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেখছেন। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই সকলকে মানতে হবে। যে দোষ করবে সে শাস্তি পাবে। আইন আইনের পথেই চলবে। স্পষ্ট কথা রত্নার।